Wed, 23/11/2011 - 4:21pm | by ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

উযবেক পার্লামেন্ট ভবন
উযবেকিস্তানের নাম নিলে মানস পটে ভেসে উঠে ঐতিহাসিক সমরকন্দ, বুখারা, তাসখন্দ ও আমু দরিয়া। উযবেকিস্তানের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে যেমন জড়িয়ে আছে ইমাম বুখারী রাহ. ও ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী'র রাহ. নাম অপর দিকে তেমনি জীবন্ত রয়েছে পারসিক রাজা দারিয়ুস, মহাবীর আলেকজান্ডার, মোঙ্গলনেতা চেঙ্গিস খান ও বিশ্বত্রাস তৈমূর লঙের স্মৃতি। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ট শতাব্দী হতে পর্যায়ক্রমে পরিচালিত বৈদেশিক শক্তির সামরিক অভিযান ও রাজনৈতিক উত্থান পতনের নীরব সাক্ষী উযবেকিস্তান। এই ভূখন্ডে ইসলামের প্রথম আগমন ঘটে অষ্টম শতাব্দীতে তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রা. এর আমলে। উমাইয়া যুগে উযবেকিস্তানের কিছু এলাকা জয় করেন তৎকালীন খোরাসানের শাসনকর্তা সাউদ ইবন উসমান ও উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ এবং পুরো এলাকা ইসলামের ছায়াতলে আসে মুসলিম আলেকজান্ডার নামে খ্যাত হযরত কুতায়বা ইবন মুসলিমের রা. হাতে। ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে উযবেকিস্তানের তৎকালীন যাযাবর তুর্কী উপজাতির হাতে হযরত কুতায়বা রা. শাহাদত বরণ করেন।
৪,৪০,৪০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট উযবেকিস্তানের জনসংখ্যা বর্তমানে ২,৩৮,৬০,৪৫২ জন। কৃষিজাত ফসল উৎপাদনে উযবেকিস্তান ঐতিহ্যগতভাবে যথেষ্ট কৃতিত্বের অধিকারী ছিল। আজ থেকে মাত্র ২০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে তুলা উৎপাদনে উযবেকিস্তান ছিল প্রথম এবং গোটা পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের মোট উৎপাদনের মধ্যে কেবল উযবেকিস্তান সরবরাহ করতো ৬৫% তুলা, ৫০% চাল এবং ৬০% Lucern Grown। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গ প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে উযবেকিস্তানের অবস্থান অবস্থিতি হচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে গোটা মধ্য এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উযবেকিস্তানের নাম নিলে মানস পটে ভেসে উঠে ঐতিহাসিক সমরকন্দ, বুখারা, তাসখন্দ ও আমু দরিয়া। উযবেকিস্তানের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে যেমন জড়িয়ে আছে ইমাম বুখারী রাহ. ও ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী'র রাহ. নাম অপর দিকে তেমনি জীবন্ত রয়েছে পারসিক রাজা দারিয়ুস, মহাবীর আলেকজান্ডার, মোঙ্গলনেতা চেঙ্গিস খান ও বিশ্বত্রাস তৈমূর লঙের স্মৃতি। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ট শতাব্দী হতে পর্যায়ক্রমে পরিচালিত বৈদেশিক শক্তির সামরিক অভিযান ও রাজনৈতিক উত্থান পতনের নীরব সাক্ষী উযবেকিস্তান। এই ভূখন্ডে ইসলামের প্রথম আগমন ঘটে অষ্টম শতাব্দীতে তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রা. এর আমলে। উমাইয়া যুগে উযবেকিস্তানের কিছু এলাকা জয় করেন তৎকালীন খোরাসানের শাসনকর্তা সাউদ ইবন উসমান ও উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ এবং পুরো এলাকা ইসলামের ছায়াতলে আসে মুসলিম আলেকজান্ডার নামে খ্যাত হযরত কুতায়বা ইবন মুসলিমের রা. হাতে। ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে উযবেকিস্তানের তৎকালীন যাযাবর তুর্কী উপজাতির হাতে হযরত কুতায়বা রা. শাহাদত বরণ করেন।
৪,৪০,৪০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট উযবেকিস্তানের জনসংখ্যা বর্তমানে ২,৩৮,৬০,৪৫২ জন। কৃষিজাত ফসল উৎপাদনে উযবেকিস্তান ঐতিহ্যগতভাবে যথেষ্ট কৃতিত্বের অধিকারী ছিল। আজ থেকে মাত্র ২০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে তুলা উৎপাদনে উযবেকিস্তান ছিল প্রথম এবং গোটা পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের মোট উৎপাদনের মধ্যে কেবল উযবেকিস্তান সরবরাহ করতো ৬৫% তুলা, ৫০% চাল এবং ৬০% Lucern Grown। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গ প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে উযবেকিস্তানের অবস্থান অবস্থিতি হচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে গোটা মধ্য এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
করিমভের দুঃশাসনঃ
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বলশেভিক বিপ্লবীরা উযবেকিস্তানকে সোভিয়েত সাম্রাজ্যভূক্ত করে নেয়। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের পতনের পর উযবেকিস্তান তার হৃত স্বাধীনতা ফিরে পেলেও প্রাক্তন কমিউনিষ্ট নেতা ইসলাম করিমভ নতুন পরিচয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেন। উযবেক কমিউনিষ্ট পার্টির নতুন নাম রাখা হয় পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টি অব উযবেকিস্তান। ক্ষমতায় বসে তিনি একে একে চন্ডনীতির আশ্রয় নিতে থাকেন। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত ও গৃহীত সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতামতের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের গ্যারান্টি থাকলেও প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ ষ্টালিনবাদী মানসিকতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কতিপয় পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়। ইসলামী রেনেসাঁ পার্টি, আদালত পাটি ও উযবেক বুদ্ধিজীবিদের সংগঠন ‘বিরলিক’ নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জারী করা এক আদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন বেআইনি ঘোষণা করা হয়। ইসলামপন্থীদের উপর চলে বেপরোয়া নির্যাতন, ধরপাকড় ও নিগ্রহ। এক কালের শস্য ও ফসল সমৃদ্ধ এই জনপদ ধীরে ধীরে বিরান ভূমিতে পরিণত হয়।
সোভিয়েত আমলের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রথম সেক্রেটারী ইসলাম করিমভ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ হতে উযবেকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আগলে রেখেছেন। কমিউনিষ্ট আমলের মতো তিনি কঠোর হস্তে প্রশাসন ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা উযবেকিস্তানে বিলাস কল্পনা। ইসলাম করিমভের ২০ বছরব্যাপী নিবর্তনমূলক শাসনের ফলে উযবেকিস্তানে কোন ধরনের প্রশাসনিক সংস্কার হয়নি, সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী হয়নি এবং দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের ফলে নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হয়নি। সোভিয়েত আমলে গড়ে উঠা মেশিনারী, খাদ্য প্রক্রিজাতকরণ, গ্যাস, বস্ত্র ও অন্যান্য শিল্প কারখানাগুলো প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। অবস্থা সম্পন্ন কৃষকগণ ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীতে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গ্রামমুখি হয়েছে বেকার জনিত অর্থনৈতিক বঞ্চনার কারণে। ইসলাম করিমভের কর্র্তৃত্ববাদী শাসনে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান দরিদ্রতা উযবেকিস্তানের সাধারণ জনগনের জন্য আভিশাপ বয়ে এনেছে। অপর দিকে ক্ষমতাসীনচক্র বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছে বিশেষ করে বিলি, মবিল, ষোল, ইউনিকল, শেল, টোটাল সহ আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানীগুলোকে খনিজ কূপ ইজারা দিয়ে। এ ছাড়া উযবেকিস্তানে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি গণ অসন্তোষের আরেকটি অন্যতম কারণ। করিমভ স্বীয় আর্থ-রাজনৈতিক স্বাথ চরিতার্থ করার জন্য দু’টি পরাশক্তিকে ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ইসলামপন্থীদের দমন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর উপর নজরদারী ও এতদঞ্চলের বিপুল গ্যাস ও তেলের রিজার্ভ নিজের ভাগে আনার জন্য দক্ষিণ উযবেকিস্তানের খানাবাদে একটি বিশাল বিমান ঘাঁটি স্থাপন করে।
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বলশেভিক বিপ্লবীরা উযবেকিস্তানকে সোভিয়েত সাম্রাজ্যভূক্ত করে নেয়। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের পতনের পর উযবেকিস্তান তার হৃত স্বাধীনতা ফিরে পেলেও প্রাক্তন কমিউনিষ্ট নেতা ইসলাম করিমভ নতুন পরিচয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেন। উযবেক কমিউনিষ্ট পার্টির নতুন নাম রাখা হয় পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টি অব উযবেকিস্তান। ক্ষমতায় বসে তিনি একে একে চন্ডনীতির আশ্রয় নিতে থাকেন। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত ও গৃহীত সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতামতের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের গ্যারান্টি থাকলেও প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ ষ্টালিনবাদী মানসিকতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কতিপয় পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়। ইসলামী রেনেসাঁ পার্টি, আদালত পাটি ও উযবেক বুদ্ধিজীবিদের সংগঠন ‘বিরলিক’ নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জারী করা এক আদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন বেআইনি ঘোষণা করা হয়। ইসলামপন্থীদের উপর চলে বেপরোয়া নির্যাতন, ধরপাকড় ও নিগ্রহ। এক কালের শস্য ও ফসল সমৃদ্ধ এই জনপদ ধীরে ধীরে বিরান ভূমিতে পরিণত হয়।
সোভিয়েত আমলের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রথম সেক্রেটারী ইসলাম করিমভ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ হতে উযবেকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আগলে রেখেছেন। কমিউনিষ্ট আমলের মতো তিনি কঠোর হস্তে প্রশাসন ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা উযবেকিস্তানে বিলাস কল্পনা। ইসলাম করিমভের ২০ বছরব্যাপী নিবর্তনমূলক শাসনের ফলে উযবেকিস্তানে কোন ধরনের প্রশাসনিক সংস্কার হয়নি, সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী হয়নি এবং দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের ফলে নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হয়নি। সোভিয়েত আমলে গড়ে উঠা মেশিনারী, খাদ্য প্রক্রিজাতকরণ, গ্যাস, বস্ত্র ও অন্যান্য শিল্প কারখানাগুলো প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। অবস্থা সম্পন্ন কৃষকগণ ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীতে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গ্রামমুখি হয়েছে বেকার জনিত অর্থনৈতিক বঞ্চনার কারণে। ইসলাম করিমভের কর্র্তৃত্ববাদী শাসনে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান দরিদ্রতা উযবেকিস্তানের সাধারণ জনগনের জন্য আভিশাপ বয়ে এনেছে। অপর দিকে ক্ষমতাসীনচক্র বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছে বিশেষ করে বিলি, মবিল, ষোল, ইউনিকল, শেল, টোটাল সহ আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানীগুলোকে খনিজ কূপ ইজারা দিয়ে। এ ছাড়া উযবেকিস্তানে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি গণ অসন্তোষের আরেকটি অন্যতম কারণ। করিমভ স্বীয় আর্থ-রাজনৈতিক স্বাথ চরিতার্থ করার জন্য দু’টি পরাশক্তিকে ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ইসলামপন্থীদের দমন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর উপর নজরদারী ও এতদঞ্চলের বিপুল গ্যাস ও তেলের রিজার্ভ নিজের ভাগে আনার জন্য দক্ষিণ উযবেকিস্তানের খানাবাদে একটি বিশাল বিমান ঘাঁটি স্থাপন করে।
বিপুল তেল-গ্যাসের ভান্ডারঃ
এখানে উল্লেখ করা একান্ত প্রাসঙ্গিক যে, মধ্য এশিয়ার মাটির নিচে অভাবনীয় পরিমাণ তেল ও গ্যাসের আবিস্কার রুশ-মার্কিন পরাশক্তি ও তার বিশ্বস্ত মিত্রদের এ অঞ্চল নিয়ে নতুন চক্রান্তে উৎসাহিত করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে কাজাকিস্তানের সমুদ্র সৈকতে, উযবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কাস্পিয়ান সাগরের ভূ-গর্ভে তেল সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন ব্যারেল। কোন কোন হিসেব মতে এই মজুদের পরিমাণ আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ তেলের রিজার্ভ আছে তা ছাড়িয়ে যাবে। যথাযথভাবে অনুসন্ধান ও উত্তোলন করা সম্ভব হলে কাজাকিস্তানের তেল সম্পদ সৌদি আরবের চেয়েও বেশী আর তুর্কমেনিস্তানের ভূ-গর্ভে যে পরিমাণ তেলের মজুদ রয়েছে তা পরিমানের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের তালিকায় পঞ্চম। কেউ কেউ মনে করেন কাজাকিস্তানের তেল সম্পদের মজুদ নাইজেরিয়া বা লিবিয়ার চেয়েও বেশী অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের রিজার্ভ ২১ মিলিয়ন ব্যারেল। (অধ্যাপক আলী রীয়াজ, হায়দার আকবর খান রনো, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও রক্তাক্ত আফগান, পৃ.৪৬১-৪৬৬, ৫৫৬-৫৫৯)
এখানে উল্লেখ করা একান্ত প্রাসঙ্গিক যে, মধ্য এশিয়ার মাটির নিচে অভাবনীয় পরিমাণ তেল ও গ্যাসের আবিস্কার রুশ-মার্কিন পরাশক্তি ও তার বিশ্বস্ত মিত্রদের এ অঞ্চল নিয়ে নতুন চক্রান্তে উৎসাহিত করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে কাজাকিস্তানের সমুদ্র সৈকতে, উযবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কাস্পিয়ান সাগরের ভূ-গর্ভে তেল সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন ব্যারেল। কোন কোন হিসেব মতে এই মজুদের পরিমাণ আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন ব্যারেল যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ তেলের রিজার্ভ আছে তা ছাড়িয়ে যাবে। যথাযথভাবে অনুসন্ধান ও উত্তোলন করা সম্ভব হলে কাজাকিস্তানের তেল সম্পদ সৌদি আরবের চেয়েও বেশী আর তুর্কমেনিস্তানের ভূ-গর্ভে যে পরিমাণ তেলের মজুদ রয়েছে তা পরিমানের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের তালিকায় পঞ্চম। কেউ কেউ মনে করেন কাজাকিস্তানের তেল সম্পদের মজুদ নাইজেরিয়া বা লিবিয়ার চেয়েও বেশী অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের রিজার্ভ ২১ মিলিয়ন ব্যারেল। (অধ্যাপক আলী রীয়াজ, হায়দার আকবর খান রনো, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও রক্তাক্ত আফগান, পৃ.৪৬১-৪৬৬, ৫৫৬-৫৫৯)
নৃশংস হত্যাযজ্ঞঃ
ঈঙ্গ-মার্কিন-রুশ অক্ষ শক্তির ক্রীড়নক স্বৈরশাসক ইসলাম করিমভ সামপ্্রতিক কালে নজিরবিহীন নৃশংসতা ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালিয়ে উযবেকিস্তানের ইসলাম প্রিয় জনগনের দীর্ঘ দিনের লালিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার চেতনাকে গুড়িয়ে দেবার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। বরং আনদিজানের ১২০০ শহীদের খুনরাঙ্গা পথ ধরে উযবেকিস্তানে যে ইসলামের ঝান্ডা উড়বে এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর এত বড় আকারের বিদ্রোহ উযবেকিস্তানে ইতোপূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি। শহীদের রক্তে যে মাটি সিক্ত হয়, ঈমানের রক্ত গোলাপ সেখানে ফুটবেই ফুটবে আজ অথবা কাল। প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ সেনাবাহিনীকে দেশপ্রেমিক জনগনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে আসন্ন গণ অভ্যুত্থান ঠেকাতে পারবেন বলে মনে হয়না। অভ্যুত্থান অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনী তাঁর পক্ষ ত্যাগ করতে পারে। কারণ সেনাবাহিনী আম জনতার রক্তস্রোতের উপর স্বৈরশাসকদের বেশী দিন ক্ষমতার মসনদে ঠিকিয়ে রাখেনা। কারণ সেনাসদস্যরা জনগনেরই সন্তান। কিরঘিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভের মতো ইসলাম করিমভকেও উযবেকিস্তানের ক্ষমতা ছাড়তে হবে। কিরঘিজিস্তানের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ১৪ বছর পর্যন্ত আসকার আকায়েভকে ক্ষমতায় রেখেছিল কিন্তু তিনি যখন সেনাবাহিনীকে কিরঘিজিস্তানের নিরীহ জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করালেন তখন সেনাবাহিনী অস্ত্র পরিত্যাগ করে গণমানুষের সাথে রাজপথে নেমে আসে। প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভ ক্ষমতাচ্যুত হন। সুতরাং প্রতিবেশী কিরঘিজিস্তানের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বদলের প্রভাব উযবেকিস্তানে পড়বে এটা একান্ত স্বাভাবিক ও সহজ রাজনৈতিক সমীকরণ।
বঞ্চনা, অপশাসন, নিপীড়ন ও বিদেশীদের সামরিক ঘাঁটি ইত্যাদি কারণে উযবেকিস্তানের সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ, দ্রোহ ও বিক্ষোভ দেখা দেওয়া একান্ত যৌক্তিক। ইতোমধ্যে হিযবুত তাহরিরসহ ইসলামী দলগুলো তাদেরকে ভিত্তি ও অবস্থানকে সুসংহত ও শক্তিশালী করে নেয়। অত্যাসন্ন মুক্তির স্বপ্নিল প্রত্যাশায় মুস্তায্আফিনরা দলে দলে ইসলামী পার্টির ব্যানারে জমায়েত হচ্ছে। ইসলামী দলগুলোর প্রতি ক্রমবর্ধমান হারে জনগনের আস্থা ও সমর্থন বেড়ে চলেছে। তাঁরা ইসলামী আদর্শের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন চায়। তারল্য সংকট দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্বের আবসান কল্পে পুঁজির প্রবাহ অবারিত করতে চায়। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কিছুদিন পূর্বে উযবেকিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর আন্দিজানের ২৩ জন ব্যবসায়ী একটি কনষ্ট্রাকশন কোম্পানী গঠন করে। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির বাইরে কনষ্ট্রাকশন কোম্পানী গঠন পূর্বক কর্মসংস্থান সৃষ্টির এ প্রয়াসকে ইসলাম করিমভ সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ বিবেচনা করে এবং উদ্যেক্তা ২৩ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে কারাগারে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। ২৩ জন ইসলাম পন্থী ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবীতে আন্দিজান ও পোখতাবাদে আন্দোলন শুরু হয়। করিমভ সরকার আন্দোলনকারী জনতাকে দমন করার জন্য নির্বিচারে গ্রেফতার, ব্যাপক নির্যাতন ও বিচারের নামে প্রহসনের পথ বেছে নেয়। উযবেকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার উপর আন্দোলনকারীদের আস্থা নেই। কারণ উযবেক আদালতগুলো সর্বোতভাবেই ইসলাম করিমভ নিয়ন্ত্রিত। বিগত মাসগুলোতে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং গন অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে স্থানীয় সেনা ছাউনীতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গোলা বারুদ লুঠ করে নেয়। কারাগার দখল করে ২৩ জন ব্যবসায়ী সহ দু’হাজার বন্দীকে মুক্ত করে দেয়। মেয়র কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারী ভবন বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বিক্ষোভকারীদের হাতে স্থানীয় সিনেমা ও থিয়েটার হল ভস্মীভূত হয়ে যায়। ইসলাম করিমভ সরকার রাজনৈতিকভাবে সংকট মুকাবেলা না করে রুশ জার বলশেভিকদের মতো নিষ্ঠুর দমন নীতির আশ্রয় নেয় এবং নিজ দেশের জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বিক্ষোভকারীদের দমনের জন্য সেনা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায় এবং নৃশংস কায়দায় মানুষ হত্যা করে। সরকারী সৈন্যরা বহু নিরস্ত্র ও নিরীহ লোককে মেরে ফেলে। ইন্টারন্যাশনাল হেলসিংকি ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস এবং হিউম্যান রাইটস সোসাইটি অব উযবেকিস্তান এক হাজার মানুষের শাহাদত বরণের কথা স্বীকার করে। বাস্তবে মৃতের সংখ্যা আরো বেশী। প্রায় ১৫ হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ প্রাণ ভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রতিবেশী দেশ কিরঘিজিস্তানে সীমান্তে জড়ো হয়। শরণার্থীদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক আহত ব্যক্তিও রয়েছেন। প্রতিবেশী কিরঘিজিস্তানের মানুষ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উযবেক জনগণের প্রতি সহানুভূতিশীল। সহিংসতার প্রকৃত তথ্য বিশ্ববাসীদের কাছ থেকে আড়াল করার জন্য উযবেক সরকার আন্তর্জাতিক টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মিদের যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা হতে বের করে দেয় এবং রক্তক্ষয়ী দমনাভিযানের আন্তর্জাতিক তদন্তের জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের আহবানও প্রত্যাখ্যান করে।
ঈঙ্গ-মার্কিন-রুশ অক্ষ শক্তির ক্রীড়নক স্বৈরশাসক ইসলাম করিমভ সামপ্্রতিক কালে নজিরবিহীন নৃশংসতা ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালিয়ে উযবেকিস্তানের ইসলাম প্রিয় জনগনের দীর্ঘ দিনের লালিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার চেতনাকে গুড়িয়ে দেবার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। বরং আনদিজানের ১২০০ শহীদের খুনরাঙ্গা পথ ধরে উযবেকিস্তানে যে ইসলামের ঝান্ডা উড়বে এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর এত বড় আকারের বিদ্রোহ উযবেকিস্তানে ইতোপূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি। শহীদের রক্তে যে মাটি সিক্ত হয়, ঈমানের রক্ত গোলাপ সেখানে ফুটবেই ফুটবে আজ অথবা কাল। প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ সেনাবাহিনীকে দেশপ্রেমিক জনগনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে আসন্ন গণ অভ্যুত্থান ঠেকাতে পারবেন বলে মনে হয়না। অভ্যুত্থান অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনী তাঁর পক্ষ ত্যাগ করতে পারে। কারণ সেনাবাহিনী আম জনতার রক্তস্রোতের উপর স্বৈরশাসকদের বেশী দিন ক্ষমতার মসনদে ঠিকিয়ে রাখেনা। কারণ সেনাসদস্যরা জনগনেরই সন্তান। কিরঘিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভের মতো ইসলাম করিমভকেও উযবেকিস্তানের ক্ষমতা ছাড়তে হবে। কিরঘিজিস্তানের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ১৪ বছর পর্যন্ত আসকার আকায়েভকে ক্ষমতায় রেখেছিল কিন্তু তিনি যখন সেনাবাহিনীকে কিরঘিজিস্তানের নিরীহ জনগনের মুখোমুখি দাঁড় করালেন তখন সেনাবাহিনী অস্ত্র পরিত্যাগ করে গণমানুষের সাথে রাজপথে নেমে আসে। প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভ ক্ষমতাচ্যুত হন। সুতরাং প্রতিবেশী কিরঘিজিস্তানের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বদলের প্রভাব উযবেকিস্তানে পড়বে এটা একান্ত স্বাভাবিক ও সহজ রাজনৈতিক সমীকরণ।
বঞ্চনা, অপশাসন, নিপীড়ন ও বিদেশীদের সামরিক ঘাঁটি ইত্যাদি কারণে উযবেকিস্তানের সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ, দ্রোহ ও বিক্ষোভ দেখা দেওয়া একান্ত যৌক্তিক। ইতোমধ্যে হিযবুত তাহরিরসহ ইসলামী দলগুলো তাদেরকে ভিত্তি ও অবস্থানকে সুসংহত ও শক্তিশালী করে নেয়। অত্যাসন্ন মুক্তির স্বপ্নিল প্রত্যাশায় মুস্তায্আফিনরা দলে দলে ইসলামী পার্টির ব্যানারে জমায়েত হচ্ছে। ইসলামী দলগুলোর প্রতি ক্রমবর্ধমান হারে জনগনের আস্থা ও সমর্থন বেড়ে চলেছে। তাঁরা ইসলামী আদর্শের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন চায়। তারল্য সংকট দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্বের আবসান কল্পে পুঁজির প্রবাহ অবারিত করতে চায়। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কিছুদিন পূর্বে উযবেকিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর আন্দিজানের ২৩ জন ব্যবসায়ী একটি কনষ্ট্রাকশন কোম্পানী গঠন করে। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির বাইরে কনষ্ট্রাকশন কোম্পানী গঠন পূর্বক কর্মসংস্থান সৃষ্টির এ প্রয়াসকে ইসলাম করিমভ সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ বিবেচনা করে এবং উদ্যেক্তা ২৩ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে কারাগারে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। ২৩ জন ইসলাম পন্থী ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবীতে আন্দিজান ও পোখতাবাদে আন্দোলন শুরু হয়। করিমভ সরকার আন্দোলনকারী জনতাকে দমন করার জন্য নির্বিচারে গ্রেফতার, ব্যাপক নির্যাতন ও বিচারের নামে প্রহসনের পথ বেছে নেয়। উযবেকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার উপর আন্দোলনকারীদের আস্থা নেই। কারণ উযবেক আদালতগুলো সর্বোতভাবেই ইসলাম করিমভ নিয়ন্ত্রিত। বিগত মাসগুলোতে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং গন অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে স্থানীয় সেনা ছাউনীতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গোলা বারুদ লুঠ করে নেয়। কারাগার দখল করে ২৩ জন ব্যবসায়ী সহ দু’হাজার বন্দীকে মুক্ত করে দেয়। মেয়র কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারী ভবন বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বিক্ষোভকারীদের হাতে স্থানীয় সিনেমা ও থিয়েটার হল ভস্মীভূত হয়ে যায়। ইসলাম করিমভ সরকার রাজনৈতিকভাবে সংকট মুকাবেলা না করে রুশ জার বলশেভিকদের মতো নিষ্ঠুর দমন নীতির আশ্রয় নেয় এবং নিজ দেশের জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বিক্ষোভকারীদের দমনের জন্য সেনা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায় এবং নৃশংস কায়দায় মানুষ হত্যা করে। সরকারী সৈন্যরা বহু নিরস্ত্র ও নিরীহ লোককে মেরে ফেলে। ইন্টারন্যাশনাল হেলসিংকি ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস এবং হিউম্যান রাইটস সোসাইটি অব উযবেকিস্তান এক হাজার মানুষের শাহাদত বরণের কথা স্বীকার করে। বাস্তবে মৃতের সংখ্যা আরো বেশী। প্রায় ১৫ হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ প্রাণ ভয়ে ও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রতিবেশী দেশ কিরঘিজিস্তানে সীমান্তে জড়ো হয়। শরণার্থীদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক আহত ব্যক্তিও রয়েছেন। প্রতিবেশী কিরঘিজিস্তানের মানুষ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উযবেক জনগণের প্রতি সহানুভূতিশীল। সহিংসতার প্রকৃত তথ্য বিশ্ববাসীদের কাছ থেকে আড়াল করার জন্য উযবেক সরকার আন্তর্জাতিক টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মিদের যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা হতে বের করে দেয় এবং রক্তক্ষয়ী দমনাভিযানের আন্তর্জাতিক তদন্তের জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের আহবানও প্রত্যাখ্যান করে।
পরিবর্তনের হাওয়াঃ
গোটা মধ্য এশিয়া জুড়ে একটি ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটার উপসর্গ সাম্প্রতিক কালে দেখা গেলেও প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছে কিন্তু বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকেই। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লবের পর ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কমিউনিষ্টরা আগ্রাসন চালিয়ে একে একে আযারবাইযান, কাজাকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান ও উযবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত করে নেয়। কমিউনিজমের স্টিমরোলার চালিয়ে দীর্ঘ ৭৪ বছর ধরে এ ৬টি রাষ্ট্রের জনগণকে নির্মমভাবে দমিয়ে রাখা হয়। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারা জনগণের মাঝে বঞ্চনাজনিত অসন্তোষের দানা বেধে উঠে। স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের চেতনায় তারা উদ্বুদ্ধ হতে থাকে। অবশেষে মিখাইল গর্ভাচভের ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘প্রেস্ত্রয়কা’ এর মাধ্যমে এ দেশগুলো স্বাধীন দেশ হিসেবে আতœপ্রকাশ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সে পুরনো সমাজতান্ত্রিক নেতা ও পলিটব্যুরোর সদস্যগণ, যারা জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তারাই আবার কৌশলে নতুন নামে, নতুন দলে, নতুন ব্যানারে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নেয়। আযারবাইযানের হায়দার আলিয়েভ, কাজাকিস্তানের নূর সুলতান নাজারবায়েভ, তাজিকিস্তানের রাখমানে নাকিয়ভ, তুর্কমেনিস্তানের সাপার মুরাদ নিয়াজভ, কিরঘিজিস্তানের আসকার আকায়েভ এবং উযবেকিস্তানের ইসলাম করিমভের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। ফলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদের সব আশা আকাক্সক্ষা ব্যর্থতার চোরাবালিতে হারিয়ে যায়। শিরদাঁড়া সোজা করার জন্য জনগণ মরিয়া হয়ে উঠে। আঘাতের বদলে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি চলতে থাকে নীরবে, আড়ালে ও আবডালে; এমনকি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার রক্তচক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে।
গোটা মধ্য এশিয়া জুড়ে একটি ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটার উপসর্গ সাম্প্রতিক কালে দেখা গেলেও প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছে কিন্তু বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকেই। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লবের পর ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কমিউনিষ্টরা আগ্রাসন চালিয়ে একে একে আযারবাইযান, কাজাকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান ও উযবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত করে নেয়। কমিউনিজমের স্টিমরোলার চালিয়ে দীর্ঘ ৭৪ বছর ধরে এ ৬টি রাষ্ট্রের জনগণকে নির্মমভাবে দমিয়ে রাখা হয়। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারা জনগণের মাঝে বঞ্চনাজনিত অসন্তোষের দানা বেধে উঠে। স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের চেতনায় তারা উদ্বুদ্ধ হতে থাকে। অবশেষে মিখাইল গর্ভাচভের ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘প্রেস্ত্রয়কা’ এর মাধ্যমে এ দেশগুলো স্বাধীন দেশ হিসেবে আতœপ্রকাশ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সে পুরনো সমাজতান্ত্রিক নেতা ও পলিটব্যুরোর সদস্যগণ, যারা জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তারাই আবার কৌশলে নতুন নামে, নতুন দলে, নতুন ব্যানারে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নেয়। আযারবাইযানের হায়দার আলিয়েভ, কাজাকিস্তানের নূর সুলতান নাজারবায়েভ, তাজিকিস্তানের রাখমানে নাকিয়ভ, তুর্কমেনিস্তানের সাপার মুরাদ নিয়াজভ, কিরঘিজিস্তানের আসকার আকায়েভ এবং উযবেকিস্তানের ইসলাম করিমভের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। ফলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদের সব আশা আকাক্সক্ষা ব্যর্থতার চোরাবালিতে হারিয়ে যায়। শিরদাঁড়া সোজা করার জন্য জনগণ মরিয়া হয়ে উঠে। আঘাতের বদলে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি চলতে থাকে নীরবে, আড়ালে ও আবডালে; এমনকি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার রক্তচক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে।
শেষকথাঃ
ইসলাম করিমভের এ ড্যাম কেয়ার মানসিকতার পেছনে কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ কারণ আমেরিকার তথাকথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে করিমভ হচ্ছেন অন্যতম সমর্থক। উযবেকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ভন্ডামি ও ডাবল ষ্টান্ডার্ড পলিসি নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া কাজাকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তানের স্বৈরশাসকরা করিমভ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত মধ্য এশিয়ার এসব দেশের ক্ষমতায় যারা অধিষ্টিত তারা সবাই ষ্টালিনবাদী মানসিকতায় আক্রান্ত। আই এইচ টি এর নিম্নোক্ত সংবাদভাষ্য এ ক্ষেত্রে সবিশেষ প্রনিধানযোগ্যঃ ‘উযবেকিস্তানের আন্দিজান এলাকাটি কয়েক শতক আগে থেকেই গোটা মধ্য এশীয় অঞ্চলে পণ্য ও আদর্শ বিস্তারের ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রভূমি হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছে। সেদিক থেকে এই এলাকার গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অন্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশী। এ অবস্থায় আন্দিজানে সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন করে ত্রাস সৃষ্টি করা যাবে ঠিকই, কিন্তু করিমভ সরকারের এই ভ্রান্ত নীতি সেখানকার প্রাচীন ইতিহাসকে অস্বীকার করার সাথে তুল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এই আন্দিজান থেকেই একদিন রাশিয়ার নির্দয় জার শাসনের বিরুদ্ধে এবং পরবর্তীতে সোভিয়েত সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল।’ (ইনকিলাব, ৩০ মে,২০০৫)
উপর্যুক্ত ইতিহাস থেকে ইসলাম করিমভের অনেক কিছু শেখার আছে। সংস্কার ও উদারীকরণের পথ বেছে নেয়া হবে তাঁর জন্য স্বস্তির ব্যাপার। সাধারণ মানুষকে আস্থায় নিতে না পারলে কেবল সামরিক শক্তি দিয়ে বেশী দিন দেশ শাসন করা যায়না। মুলতঃ তিনি প্রজ্বলিত লাভাময় আগ্নেয়গিরির উপর দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে এবং শক্তি প্রয়োগ করে তিনি যদি ধুমায়িত অসন্তোষ দমাতে চান, তাহলে কিরঘিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভ ও জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড শেভার্দনাদজের মতো নির্মম ভাগ্য বরণ করতে হবে গণ অভ্যুত্থানের মুখে। বর্তমানে উযবেকিস্তানসহ গোটা মধ্য এশিয়া জুড়ে লক্ষ তরুনের প্রাণে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার আগুন জ্বলছে এবং কখন ইসলাম করিমভকে সেই আগুন গ্রাস করে সেটা দেখার বিষয়। #

ঐতিহাসিক সমরকন্দ নগরী
ইসলাম করিমভের এ ড্যাম কেয়ার মানসিকতার পেছনে কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ কারণ আমেরিকার তথাকথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে করিমভ হচ্ছেন অন্যতম সমর্থক। উযবেকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ভন্ডামি ও ডাবল ষ্টান্ডার্ড পলিসি নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া কাজাকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তানের স্বৈরশাসকরা করিমভ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত মধ্য এশিয়ার এসব দেশের ক্ষমতায় যারা অধিষ্টিত তারা সবাই ষ্টালিনবাদী মানসিকতায় আক্রান্ত। আই এইচ টি এর নিম্নোক্ত সংবাদভাষ্য এ ক্ষেত্রে সবিশেষ প্রনিধানযোগ্যঃ ‘উযবেকিস্তানের আন্দিজান এলাকাটি কয়েক শতক আগে থেকেই গোটা মধ্য এশীয় অঞ্চলে পণ্য ও আদর্শ বিস্তারের ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রভূমি হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছে। সেদিক থেকে এই এলাকার গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অন্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশী। এ অবস্থায় আন্দিজানে সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন করে ত্রাস সৃষ্টি করা যাবে ঠিকই, কিন্তু করিমভ সরকারের এই ভ্রান্ত নীতি সেখানকার প্রাচীন ইতিহাসকে অস্বীকার করার সাথে তুল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এই আন্দিজান থেকেই একদিন রাশিয়ার নির্দয় জার শাসনের বিরুদ্ধে এবং পরবর্তীতে সোভিয়েত সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল।’ (ইনকিলাব, ৩০ মে,২০০৫)
উপর্যুক্ত ইতিহাস থেকে ইসলাম করিমভের অনেক কিছু শেখার আছে। সংস্কার ও উদারীকরণের পথ বেছে নেয়া হবে তাঁর জন্য স্বস্তির ব্যাপার। সাধারণ মানুষকে আস্থায় নিতে না পারলে কেবল সামরিক শক্তি দিয়ে বেশী দিন দেশ শাসন করা যায়না। মুলতঃ তিনি প্রজ্বলিত লাভাময় আগ্নেয়গিরির উপর দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে এবং শক্তি প্রয়োগ করে তিনি যদি ধুমায়িত অসন্তোষ দমাতে চান, তাহলে কিরঘিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভ ও জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড শেভার্দনাদজের মতো নির্মম ভাগ্য বরণ করতে হবে গণ অভ্যুত্থানের মুখে। বর্তমানে উযবেকিস্তানসহ গোটা মধ্য এশিয়া জুড়ে লক্ষ তরুনের প্রাণে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার আগুন জ্বলছে এবং কখন ইসলাম করিমভকে সেই আগুন গ্রাস করে সেটা দেখার বিষয়। #

ঐতিহাসিক সমরকন্দ নগরী