সমকামিতা মানসিক রোগব্যাধি নয় তবে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণে বর্জনীয়

,
সমকামিতা (ইংরেজি: Homosexuality, হোমোসেক্শুয়্যালিটি) একটি যৌন প্রবৃত্তি, যার দ্বারা সমলিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রেম কিংবা যৌন আচরণ বোঝায়। প্রবৃত্তি হিসেবে, সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের কোনো ব্যক্তির প্রতি জেগে ওঠা "এক যৌন, স্নেহ বা প্রণয়ঘটিত এক ধরনের স্থায়ী স্বাভাবিক প্রবণতা"; "এছাড়া এর দ্বারা এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি, এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এক সম্প্রদায়ের সদস্যতাও নির্দেশিত হয় ।
‘হোমোসেক্সুয়াল’ শব্দটি ইংরেজিতে প্রথম ব্যবহার করেন কার্ল মারিয়া কার্টবেরি ১৮৬৯ সালে । পরে জীববিজ্ঞানী গুস্তভ জেগার এবং রিচার্ড ফ্রেইহার ভন ক্রাফট ইবিং ১৮৮০’র দশকে শব্দটিকে ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষায়তন এবং সাধারণদের মধ্যে জনপ্রিয় করেন।বর্তমানে হোমোসেক্সুয়াল শব্দটি একাডেমিয়ায় কিংবা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হলেও সাড়া বিশ্ব জুড়ে সমকামীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘গে’ এবং লেসবিয়ান’ শব্দদুটি অধিক হারে মিডিয়ায় ব্যবহৃত হয় । পশ্চিমে ‘গে’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯২০ সালে । তবে সে সময় এটির ব্যবহার একেবারেই সমকামীদের নিজস্ব গোত্রভুক্ত ছিলো। প্রিন্টেড মিডিয়ায় শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে । লিসা বেন নামে এক হলিউড সেক্রেটারী ‘Vice Versa: America’s Gayest Magazine’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের সময় সমকামিতার প্রতিশব্দ হিসেবে ‘গে’ শব্দটি ব্যবহার করেন, যদিও সে সময় ‘গে’ শব্দটি ‘হাসি খুশি’ অর্থেই ব্যবহৃত হত । আর ‘লেসবিয়ান’ শব্দটি এসেছে গ্রিস দেশের ‘লেসবো’ নামের দ্বীপমালা থেকে । কথিত আছে, খ্রীষ্টপূর্ব ছয় শতকে স্যাপো নামে সেখানকার এক শিক্ষিকা মেয়েদের মধ্যকার প্রেমময় জীবন নিয়ে কাব্য রচনা করে ‘কবিতা উৎসব’ পালন করেছিলেন । প্রথম দিকে লেসবিয়ান বলতে ‘লেসবো দ্বীপের অধিবাসী’ বোঝালেও, পরবর্তীতে নারীর সমপ্রেমের সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায় ।
সমকামিতা একেবারেই জন্মগত বৈশিষ্ট্য নয়, বরং এটি শৈশব থেকে শেখা বা অর্জিত বৈশিষ্ট্য । নিম্নলিখিত কারণে একটি শিশুর মধ্যে সমকামিতা বিকাশ লাভ করতে পারেঃ
১)শিশুবয়সে সমবয়সী বা প্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তির সঙ্গে সমকামের অভিজ্ঞতা
২) অস্বাভাবিক পরিবার – ক) দুর্বলচিত্ত বা অপসরণশীল পিতা খ) কর্তৃত্বাপরায়ণ বা প্রভাবশালী মাতা গ) পিতা মাতার মধ্যে খারাপ সম্পর্ক ঘ) নির্দয় পিতামাতা ঙ) একই লিঙ্গের অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের অতিরিক্ত নিকট সম্পর্ক চ) সমকামী অভিভাবক ছ) সমকামী ভাইবোন জ) ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব* ঝ) পিতামাতার মধ্যে অগতানুগতিক যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ছ) অধিকারবাদ থেকে সমকামিতাকে রীতিসিদ্ধ বা আইনসঙ্গত বলে মনে করা*
৩) অস্বাভাবিক যৌন অভিজ্ঞতা – ক) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন খ) সমকামী পর্ণোগ্রাফিক ম্যাটেরিয়াল গ) উভকামী বা সমকামী বন্ধু/র‍্যাম্প মডেল এবং পিয়ার গ্রুপের সঙ্গে সখ্যতা
৪) সাংস্কৃতিক প্রভাব – ক) সুস্থ ও বৈজ্ঞানিক যৌনবিজ্ঞান/সেক্স এডুকেশন সম্পর্কে অজ্ঞতা খ) সমকামিতাকে শুধুমাত্র মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করার গতিধারা গ) অতিরক্ষণশীল মুসলিম সমাজব্যবস্থা (বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সখ্যতায় বাধানিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা ঘ) অতিউদার পশ্চিমা সমাজব্যবস্থা (যা খুশী তাই করার প্রবণতা)
সূত্রঃ
Pamphlets produced by lnstitute for Scientific lnvestigation of Sexuality; Medical Aspects of Homosexuality, AIDS, the Blood Supply and Homosexuality, Medical Consequences of What Homosexual Do, 1994; Dr. Rene Josef Bullecer's pamphlet on What You Should KnowAbout Homosexuality; Dr. Armand Fabella, Health & Homes, May-June 1989
দুটি প্রসঙ্গঃ
ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব বিষয়টির আসলে পজিটিভ নেগেটিভ দুটি দিকই রয়েছে । প্রচন্ড ধর্মীয় অনুশাসনে পুরুষ ও নারী পৃথকীকরণের মাধ্যমে সমকামিতা বৃদ্ধি পায় (এটি লেখার অন্য অংশে বর্ণীত হয়েছে)।
তবে একেবারে লাগামহীনভাবে ছেড়ে দিলেও সমকামিতা বৃদ্ধি পাওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে । একদম কঠোর নয়, বরং হালকা অনুশাসন কিছুটা কাজে দিতে পারে। এই অনুশাসন বলতে আসলে ইসলামের অনুশাসন নয় বরং ক্যাথলিক অনুশাসনের কথা বোঝানো হয়েছে, ক্যাথলিকেরা যতই রক্ষণশীল হোক, এই রক্ষণশীলতা ইসলামিক রক্ষণশীলতার মত কট্টর নয় এবং ক্যাথলিকদের অনুশাসন কিছুটা হলেও সমকামীদের বিষমকামে অনুপ্রাণিত হতে বা উদ্বুদ্ধ করতে কাজে দিয়েছে, যদিও তাদের সকল কথা সত্য নয়।
সমকামিতা আইনসিদ্ধ ছিলোনা পৃথিবীতে এবং হওয়াও উচিত নয় বলেই আমি মনে করি কেননা মানবাধিকারের চেয়েও বড় জীবনমরণের প্রশ্ন। জীবনটাই যদি না থাকলো,তাহলে মানবতাবাদ, নারীবাদ, এই-বাদ, ঐ-বাদ কোনকিছুরই অর্থ থাকেনা । তাই আমি সবকিছুতেই মানবাধিকার বা মানবতাবাদী যদি না সেটি ব্যক্তিক (সাস্থ্যগত/মানসিক) সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষতির কারণ হয়। সমকামিতাকে যদি মানবাধিকারের মোড়কে ছাড়পত্র দিতে হয়, তবে ধূমপান, এলকোহল সেবন, ড্রাগ নেওয়া – সকল কিছুকেই মানবাধিকার বা ব্যক্তি স্বাধীনতার জের টেনে ছাড়পত্র দিতে হয় । কিন্তু যেহেতু এসব কিছুই স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণ সেহেতু কোনটিকেই ছাড়পত্র দেওয়া যাবেনা
মানবাধিকার বা মানবতার নামে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে সেই সকল বিষয়কে – যেগুলোতে ক্ষতির কারণ নেই – যেমন মতপ্রকাশের অধিকার, নারীবাদ ইত্যাদি । মানবাধিকার মানে যা ইচ্ছে তাই করা নয়। হালকা কিছু রেস্ট্রিকশন/মডারেশন থাকতে হয়। তাই বলে ইসলামিক টাইপের কঠোর রেস্ট্রিকশন নয় !
কেন সমকামী যৌনসম্পর্ক বিভিন্ন রোগের কারণ তা জানতে হলে পড়ুন -
One of the unnatural sexual activities homosexuals do is the anal sexual relations, which are typical in nearly 90% of all cases. Using the rectum for sexual intercourse opens the door to many viruses. This is because the sperm can easily penetrate the single cell layer of rectal wall by rupturing and tearing it and producing immunological harm. In addition to rectal trauma it also creates a vast exchange of bodily fluids which can introduce infectious substances directly into the blood stream. As Dr. Bullecer said, "anal relations and other practices are the most efficient means for the transmission of Hepatitis, AIDS, syphilis and a series of illnesses transmitted through blood." He also added that before the appearance of AIDS, 90% of the promiscuous male homosexuals had Hepatitis B.
সমকামিতার প্রায় ৯০% সম্পর্ক অ্যানাল সেক্সের সাথে সম্পর্কিত । মলাশয়কে যৌনসঙ্গমের জন্য ব্যাপার করা হলে বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য তা পোয়াবারো, কেননা লিঙ্গ সহজেই মলাশয়গাত্র ( রেকটাল ওয়াল) ভেদ করে সেটিতে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং সেই ক্ষত দিয়ে বীর্য সহজেই ব্লাডস্ট্রিমে ঢুকে পড়ে ।
সমকামিতার প্রকৃতি
শারীরিক ক্ষতিসাধনে সমকামী পুরুষদের যৌনসঙ্গমের প্রকৃতি চরমভাবে দায়ী । কেননা এই যৌনাচারণ শুধু সক্রিয়/পরোক্ষ নয়, পেনাইল –অ্যানাল, মাউথ-পেনাইল, হ্যান্ড –অ্যানাল এমনকি মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক। মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক আন্ত্রিক জীবাণুর মাধ্যমে রোগ সৃষ্টি করতে খুবই সহায়ক । মলাশয়ে ক্ষত থেকে শরীরের ভেতরে জীবাণু প্রবেশ করে, এবং অ্যানো –জেনিটাল সিফিলিটিক আলসারের সৃষ্টি হয় । ব্রিটিশ গবেষক উইলকক্স বলেন –
Male homosexual behaviour is not simply either ‘active’ or ‘passive,’ since penile-anal, mouth-penile, and hand-anal sexual contact is usual for both partners, and mouth-anal contact is not infrequent. . . . Mouth-anal contact is the reason for the relatively high incidence of diseases caused by bowel pathogens in male homosexuals. Trauma may encourage the entry of micro-organisms and thus lead to primary syphilitic lesions occurring in the anogenital area. . . .In addition to sodomy, trauma may be caused by foreign bodies, including stimulators of various kinds, penile adornments, and prostheses.
সূত্রঃ R. R. Wilcox, “Sexual Behaviour and Sexually Transmitted Disease Patterns in Male Homosexuals,” British Journal of Venereal Diseases, 57(3): 167-169, 167 (1981).
ক্ষত যে শুধু লিঙ্গের প্রবেশের মাধ্যমেই হবে তা নয়, সেটি ডিলডো/পেনাইল এডোর্নমেন্ট/প্রোস্থেসেসের মাধ্যমে হতে পারে এবং বিষমকামী ব্যক্তিরা এসব ব্যবহার করলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এসব ব্যবহারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ।
সূত্রঃ Robert T. Michael, et al., Sex in America: a Definitive Survey, pp. 140-141, Table 11, Boston: Little, Brown, and Co., 1994; Rotello, pp. 75-76.
সমকামী ব্যক্তিরা যেসকল রুটের মাধ্যমে সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয়, সেগুলোর মাধ্যমে কিভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয় তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
অ্যানো-জেনিটাল সম্পর্ক
সমকামী ব্যক্তিদের সমকামী সম্পর্কের প্রধান রুট অ্যানো-জেনিটাল রুট, একে বলা হয় sine qua non of sex for many gay men অর্থাৎ এটি সমকামী সম্পর্কে অপরিহার্য । হিউম্যান ফিজিওলজী থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানবদেহ এই সম্পর্কের জন্য তৈরি বা পরিকল্পিত নয় । লিঙ্গের জন্যই যোনী, লিঙ্গের জন্য মলাশয় নয় । যোনী যৌনসঙ্গমের জন্য স্পেশালি তৈরি,যোনীর অভ্যন্তরে ন্যাচারাল লুব্রিকেন্ট ও তিন লেয়ার বিশিষ্ট পুরু এবং স্থিতিস্থাপক মাসল থাকার কারনে একটি লিঙ্গ ঘর্ষণ এড়িয়ে ও রক্তপাত না ঘটিয়ে সহজেই যোনীতে ঢুকে যেতে পারে। কিন্তু মলাশয় একটি অত্যন্ত নাজুক অঙ্গ, মলাশয়গাত্র একেবারেই পাতলা ও কমনীয় যেটির শুধুমাত্র “এক্সিট-অনলি” বৈশিষ্ট্য রয়েছে ,একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারেনা,সরু ছিদ্রের কারণে তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং মলাশয়গাত্রে মাত্র একস্তরবিশিষ্ট লেয়ার থাকার ফলে ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু সরাসরি রক্তপ্রবাহে চলে আসে । মলাশয়ে বারবার ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ক্ষত ও লিঙ্গ প্রবেশের কারণে সৃষ্ট মলাশয়ছিদ্রের প্রসারণের কারণে স্ফিংকটার তার স্বাভাবিক টোন এবং টাইট সিল বৈশিষ্ট্যটি হারায় । উপরন্তু, অ্যানো-জেনিটাল যৌনসঙ্গমের কারণে ফিকাল ম্যাটেরিয়ালের নিঃসরণও ক্রমাগত বা ক্রনিক আকার ধারণ করে ।
অরডিনারী রিপ্রোডাক্টিভ ফিজিওলজি থেকে জানা যায়, সিমেন বা বীর্যরস ইমিউনোসাপ্রেসিভ বা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিরুদ্ধ বা নিগৃহীত করে, অ্যানাল রুট একেই অত্যন্ত নাজুক এবং জীবাণুর ডিপো, সেখানে ইমিউন সিস্টেম যোনীর সিস্টেমের তুলনায় এমনিতেই অনেক দুর্বল থাকে, সেই দুর্বল সিস্টেমে যদি বীর্যরসের মাধ্যমে তাকে আরো দুর্বল করে দেওয়া হয়, তাহলে জীবাণু বিনা প্রতিরোধে শরীরে প্রবেশ করে অতি সহজেই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করবে ।
সূত্রঃ S. S. Witkin and J. Sonnabend, “Immune Responses to Spermatozoa in Homosexual Men,” Fertility and Sterility, 39(3): 337-342, pp. 340-341 (1983).
অ্যানাল সেক্স যে অপকারী সে সম্পর্কে নামকরা সেক্সোলজিস্ট আভা ক্যাডেল বলেছেন -
Unprotected oral sex carries less risk for the transmission of STD’s than unprotected intercourse or anal sex does
অ্যানাল সেক্স, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজের জন্য অন্য পন্থার সেক্স অপেক্ষা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ।
Having sexual intercourse, oral sex and anal sex are the top cheating activities
অর্থাৎ, অ্যানাল সেক্স নেতিবাচক।
সূত্রঃ http://www.yourtango.com/experts/ava-cadell--ph-d---ed-d/3-reasons-men-cheat
Approximately 40 percent of heterosexual couples have tried anal sex at least once, so obviously it's a highly erotic and gratifying experience, but it's also a high-risk activity for HIV and other STDs, so please use protection
অ্যানাল সেক্সের কারণে নিম্নলিখিত রোগের প্রাদুর্ভাব সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি –
১) এইচআইভি এইডস ২) সিফিলিস ৩) গনোরিয়া ৪) হার্পিস সিমপ্লেক্স ৫) ভাইরাল হেপাটাইটিস টাইপ বি ও সি ৬) ক্ল্যামিডিয়া ইনফেকশন ৭) অ্যানাল ক্যান্সার ৮) ক্রিপ্টোস্পোরিডিওসিস ৯) আইসোস্পোরিয়াসিস ১০) মাইক্রোস্পোরিডিওসিস ১১) জিয়ার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া ডিজিজ ১২) স্কিন ও অ্যানো-জেনিটাল ওয়ার্ট ১৩) হেপাটাইটিস এ ১৪) এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকাজাত এমিবিয়াসিস ১৫) শিগেলোসিস ১৬) সালমোনেলোসিস ১৭) পেডিকুলোসিস ১৮) স্ক্যাবিস ১৯) ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস ২০) ক্যাম্পাইলোব্যাক্টেরিওসিস ২১) মেনিনজাইটিস ও মেনিঞ্জোকক্কেমিয়া ২২) হুক ওর্ম ।
উল্লেখ্য, ৭-২২ নং রোগগুলি বিষমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল । ১-৬ নং রোগগুলো সমকামী ও বিষমকামী উভয় ব্যক্তিদের হলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সকল রোগের হার অনেক বেশি । উদাহরণস্বরূপঃ
In 1999, King County, Washington (Seattle), reported that 85 percent of syphilis cases were among self-identified homosexual practitioners
আমেরিকার সিয়াটল প্রদেশের কিং কান্ট্রিতে ৮৫% সিফিলিস আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত ।
Syphilis among homosexual men is now at epidemic levels in San Francisco
এছাড়া অন্যান্য রোগের মধ্যে রয়েছে –

ক) হেমোরয়েড (পাইলস) খ) অ্যানাল ফিশার গ) অ্যানোরেকটাল ট্রমা ঘ) রিটেইন্ড ফরেইন বডিজ ইত্যাদি যেগুলো অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর অ্যানাল যৌনসংসর্গ।
সূত্রঃ
Anal Health for Men and Women,” LGBTHealthChannel, www.gayhealthchannel.com/analhealth/
J. E. Barone, et al., “Management of Foreign Bodies and Trauma of the Rectum,” Surgery, Gynecology and Obstetrics, 156(4): 453-457 (April 1983).
ওরাল-অ্যানাল যৌনসম্পর্ক
সমকামীদের এই ধরনের যৌনসম্পর্কের সাথে অজস্র প্যারাসাইটিক এবং আন্ত্রিক রোগ বিজড়িত। গে-বাওয়েল সিনড্রোম এমন একটি রোগ যা অবাধ অ্যানাল যৌনসংসর্গ/ এনিলিংগাস বা পায়ুপথ ও নিতম্ব চোষণ ও লেহন (রিমিং/রিম-জব) / ফেলাশিও বা লিঙ্গচোষণের (ব্লোজব) মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং সমকামীদের মধ্যে এই সিনড্রোম অত্যাধিক বেশি বলেই এর নাম বিশেষভাবে গে-বাওয়েল সিনড্রোম রাখা হয়েছে ।
সূত্রঃ
Henry Kazal, et al., “The gay bowel syndrome: Clinicopathologic correlation in 260 cases,” Annals of Clinical and Laboratory Science, 6(2): 184-192 (1976).
Glen E. Hastings and Richard Weber, “Use of the term ‘Gay Bowel Syndrome,’” reply to a letter to the editor, American Family Physician, 49(3): 582 (1994).
Ibid.; E. K. Markell, et al., “Intestinal Parasitic Infections in Homosexual Men at a San Francisco Health Fair,” Western Journal of Medicine, 139(2): 177-178 (August, 1983).
নিউইয়র্কে ১৯৯১ সালের হেপাটাইটিস এ প্রাদুর্ভাবের সময় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের% জরীপে দেখা যায়, ৭৮% হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তি হয় সমকামী নয়তো উভকামী ।
সূত্রঃ
“Hepatitis A among Homosexual Men—United States, Canada, and Australia,” Morbidity and Mortality Weekly Report, CDC, 41(09): 155, 161-164 (March 06, 1992).
সালমোনেলা মূলত যৌনবাহিত রোগ নয়, তবে যৌনসংশ্লিষ্ট সালমোনেলার প্রধান কারন ওরাল-অ্যানাল এবং ওরাল –জেনিটাল সমকামী যৌনসম্পর্ক ।
সূত্রঃ
C. M. Thorpe and G. T. Keutsch, “Enteric bacterial pathogens: Shigella, Salmonella, Campylobacter,” in K. K. Holmes, P. A. Mardh, et al., (Eds.), Sexually Transmitted Diseases (3rd edition), p. 549, New York: McGraw-Hill Health Professionals Division, 1999.
টাইফয়েড মূলত পানিবাহিত রোগ হলেও এর যৌনসংশ্লিষ্ট প্রকারটির অন্যতম মূল কারণ সমকামিতা ।
সূত্রঃ
www.thebody.com/cdc/news_updates_archive/apr26_01/typhoid.html

Tim Bonfield, "Typhoid traced to sex encounters," Cincinnati Enquirer, April 26, 2001; Erin McClam, "Health Officials
Document First Sexual Transmission of Typhoid in U.S.," Associated Press, April 25, 2001
A representative of the Foodborne and Diarrheal Diseases Branch, Division of Bacterial and Mycotic Diseases at the CDC in Atlanta, Georgia, confirmed this report and provided a link to the AP story on October 4, 2002.
সমকামীদের যৌন স্বেচ্ছাচারিতা
এইডস এপিডেমিক আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে ১৯৭৮ সালের এক স্টাডি থেকে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫% শ্বেতাঙ্গ পুরুষের ১০০+ সমকামী সঙ্গী রয়েছে, ১৫% পুরুষের ১০০-২৪৯ জন, ১৭% পুরুষের ২৫০-৪৯৯ জন, ১৫% পুরুষের ৫০০-৯৯৯ জন এবং ২৮% পুরুষের ১০০০+ জন সমকামী সঙ্গী রয়েছে । এইডসের কারণ ও রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো জানার পর থেকে এই যৌন স্বেচ্ছাচারিতার হার বেশ পরিমাণে হ্রাস পায় কিন্তু ইদানীং কিছু সাইকিয়াট্রিক ও সাইকোলজিক এ্যাসোসিয়েশনের ভুলপ্রচারের কারণে সেই সচেতনতা আবার হ্রাস পেতে শুরু করেছে । কেননা, এই এ্যাসোসিয়েশনগুলো একদিক থেকে সঠিক হলেও বৃহত্তর দিক থেকে ভুল, সমকামিতা মানসিক বিকৃতি বলে যেই ভুল ধারণাটি প্রচলিত রয়েছে সেটি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই এই এ্যাসোসিয়েশনগুলো প্রচার করেছে যে সমকামিতা মানসিক বিকৃতি নয় তবে তারা সমকামিতার মেডিক্যাল ক্ষতির কারণগুলো সম্পর্কে কিছুই বলেনি, যেহেতু তারা মেডিসিন বা সেক্স স্পেশালিস্ট নয় । এই অসম্পূর্ণ প্রচারের কারণে মানুষের মধ্যে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, যেহেতু এটি মানসিক বিকৃতি নয়, সেহেতু এটি করতে দোষের কি ? অর্থাৎ, মেডিক্যাল ক্ষতির কারণগুলো বিশ্লেষণ না করেই সমকামিতা কোন মানসিক বিকৃতি নয় – এমনটি প্রচার করার মাধ্যমে সমকামিতার মত ক্ষতিকর বিষয়কেই প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রভূত ক্ষতি সাধিত হচ্ছে । উল্লেখ্য যে, যে কোন ডিগ্রীর প্রমিস্কুইটি বা যৌন স্বেচ্ছাচারিতা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনরোগের প্রধান কারণ । সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের হিসেব অনুযায়ী, ৬৫ মিলিয়ন মার্কিনী জনগোষ্ঠী অনারোগ্য যৌনরোগে আক্রান্ত ।
সমকামিতা এবং কপ্রোফিলিয়া (মলমূত্র দেখে বা সংস্পর্শে যৌনতা)
কপ্রোফিলিয়া হলো এমন একটি অস্বাভাবিক যৌনাচারণ যেখানে ব্যক্তি মলমূত্র দেখে বা মলমূত্রের সংস্পর্শে এসে যৌনানন্দ লাভ করে। ফিনল্যান্ডের একটি সার্ভে থেকে জানা যায়, ১৮% বিষমকামী এবং ১৭% সমকামী এই অস্বাভাবিক যৌনাচারে লিপ্ত। যেহেতু জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ সমকামী, সুতরাং আনুপাতিক বিচারে এই ১৭% অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে অ্যানাল-ওরাল এবং অ্যানো-জেনিটাল সম্পর্কিত সকল প্রকার ঝুঁকির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে ।
সূত্রঃ
Paraphilias,” Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders, Fourth Edition, Text Revision, p. 576, Washington: American Psychiatric Association, 2000; Karla Jay and Allen Young, The Gay Report: Lesbians and Gay Men Speak Out About Sexual Experiences and Lifestyles, pp. 554-555, New York: Summit Books (1979).
N. Kenneth Sandnabba, Pekka Santtila, Niklas Nordling (August 1999). "Sexual Behavior and Social Adaptation Among Sadomasochistically-Oriented Males". Journal of Sex Research.
সমকামিতা এবং ফিস্টিং ( মলাশয়ে হস্ত প্রবেশণ )
ফিস্টিং বলতে বোঝানো হয় হাত বা কলাচী (ফোরআর্ম) মলাশয়ছিদ্র দিয়ে মলাশয়ের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে যৌনানুভূতি বা যৌনপুলকের উদ্রেক ঘটানো । এটি অ্যানাল ইন্টারকোর্স থেকেই অধিকতর ড্যামেজিং, এতে অ্যানাল টিয়ার বা মলাশয়ের মাসল ছিড়ে যেতে পারে এবং অ্যানাল স্ফিংকটার অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ফিস্টিং মলাশয়ে প্রদাহ, ব্যথা এবং ইনফেকশনের জন্য চরমভাবে দায়ী। একটি সার্ভেতে দেখা যায় ২২% সমকামী ফিস্টিংয়ে লিপ্ত ।
সূত্রঃ Jay and Young, pp. 554-555.
সমকামিতা এবং স্যাডিজম (ধর্ষকাম)
ধর্ষকাম একটি অস্বাভাবিক ও বর্জনীয় যৌনাচারণ যেটিতে ব্যক্তি তার যৌনসঙ্গীর সঙ্গে মারধোর করে, কষ্ট দিয়ে এবং নির্দয় আচরণ করে যৌনানন্দ বা যৌনপুলক লাভ করে । ৩৭% সমকামী এই অস্বাভাবিক যৌনাচারে অভ্যস্ত ।
সূত্রঃ Jay and Young, pp. 554-555.
অ্যানাল সেক্স এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে আজকের দিনে সোর থ্রোট আর সাধারণ অসুখ নেই, হয়ে গেছে কমপ্লিকেটেড অসুখ। আগে এই অসুখের জন্য রোগীকে তেমন প্রশ্ন করতে হতো না, এখন রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হয়, সে সমকামী যৌনাচারে লিপ্ত কিনা, সে ওরাল সেক্স বা অ্যানাল সেক্সের সঙ্গে জড়িত কিনা । হেমোরয়েড বা পাইলস আর শুধুমাত্র সার্জিক্যাল সমস্যা নেই, এটি এখন জটিল রূপ ধারণ করেছে এবং রোগী সমকামী কিনা, তার অ্যানাল ক্যান্সার, রেক্টাল গনোরিয়া, রেক্টাল ক্ল্যামিডিয়া আছে কিনা বা ভেতরে সুপ্ত কিনা সেগুলো জানতে হয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে জানা যায়, রেক্টাল ও থ্রোট গনোরিয়ার ৭৫% -ই কোন সিম্পটম ব্যতীত।
লেসবিয়ানিজম বা নারী সমকাম
নারী সমকামীদের ক্ষেত্রেও নারী বিষমকামীদের থেকে যৌনরোগসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেশি । তবে লেসবিয়ানিজম নিয়ে তথ্য উপাত্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অপ্রতুল কেননা লেসবিয়ানদের সংখ্যা হোমোসেক্সুয়ালদের থেকে কম এবং নারীঘটিত বিষয় বলে এটি নিয়ে তেমন গবেষণা করা হয়নি। আরেকটি বিষয় হলো লেসবিয়ানদের বিশাল অংশ উভকামী, অস্ট্রেলিয়ায় এক রিসার্চে দেখা গেছে এটি ৯৩ %, তাই প্রকৃত লেসবিয়ান কারা এবং লেসবিয়ানিজমের কারণে যৌনরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটি নিরূপণ দুরূহ । শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই উভকামী লেসবিয়ান জনগোষ্ঠীর অনেক পুরুষ সঙ্গী রয়েছে বলে দেখা গেছে ।
রিসার্চে দেখা গেছে, হোমোসেক্সুয়াল/উভকামী/আইভি ড্রাগ অ্যাবিউজার পুরুষের সঙ্গে লেসবিয়ান নারীদের যৌনসংসর্গের হার বিষমকামী নারীদের যৌনসংসর্গের থেকে ৩-৪ গুণ বেশি। এছাড়াও দেখা গেছে সমকামী নারীদের মধ্যে এইডসের জন্য হাই রিস্ক ফ্যাক্টর কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রবণতা বেশি, যেমনঃ ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগ এবিউজ, পতিতাবৃত্তি, উভকামী সাধারণ ও ড্রাগ এবিউজার পুরুষদের সঙ্গে যৌনসংসর্গ । ডঃ ডিগস বলেনঃ
Not only did lesbians commonly have sex with men, but with lots of men. They were 4.5 times as likely as exclusively heterosexual controls to have had more than 50 lifetime male sex partners. Consequently, the lesbians’ median number of male partners was twice that of exclusively heterosexual women. Lesbians were three to four times more likely than heterosexual women to have sex with men who were high-risk for HIV disease–homosexual, bisexual, or IV drug-abusing men. The study “demonstrates that WSW [women who have sex with women] are more likely than non- WSW to engage in recognized HIV risk behaviours such as IDU [intravenous drug use], sex work, sex with a bisexual man, and sex with a man who injects drugs, confirming previous reports.
সূত্রঃ The Health Risks of Gay Sex – John R. Diggs, Jr. MD.
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস, হেপাটাইটিস বি ও সি, অতিমাত্রায় ধূমপান, ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগ এবিউজ, এলকোহল এবিউজ, পতিতাবৃত্তির হার লেসবিয়ানদের মধ্যে বিষমকামী নারীদের তুলনায় অত্যন্ত বেশি । ড্রাগ এবিউজ ৬ গুণ বেশি, এবং গত ১ বছরে যেসকল নারী সমকামী সম্পর্কে জড়িত ছিলো, তাদের ৩০% ১ বছরের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিসে আক্রান্ত হয়, উল্লেখ্য পেলভিক ইনফ্ল্যামাটরি ডিজিজ, ক্র্যাবস, জেনিটাল ওয়ার্ট, ক্ল্যামাইডিয়া, হার্পিস সহ বিভিন্ন যৌনরোগের হাই রিস্ক ফ্যাক্টর এই ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস। উভকামী নয় এমন লেসবিয়ান নারীদের মধ্যে এইভপিভি ইনফেকশন, ট্রাইকোমোনিয়াসিস ও অ্যানোজেনিটাল ওয়ার্ট রোগের প্রবণতা দেখা গেছে।
সূত্রঃ
Ibid., p. 347, Table 1; Susan D. Cochran, et al., “Cancer- Related Risk Indicators and Preventive Screening Behaviors Among Lesbians and Bisexual Women,” American Journal of Public Health, 91(4): 591-597 (April 2001)
Juliet Richters, Sara Lubowitz, et al., “HIV risks among women in contact with Sydney’s gay and lesbian community,” Venereology, 11(3): 35–38 (1998); Juliet Richters, Sarah Bergin, et al., “Women in Contact with the Gay and Lesbian Community: Sydney Women and Sexual Health Survey 1996 and 1998,” National Centre in HIV Social Research, University of New South Wales, 1999.
Fethers, et al., p. 347 and Table 1.
Barbara Berger, Shelley Kolton, et al., “Bacterial vaginosis in lesbians: a sexually transmitted disease,” Clinical Infectious Diseases, 21: 1402-1405 (1995)

Kathleen M. Morrow, Ph.D., et al., “Sexual Risk in Lesbians and Bisexual Women,” Journal of the Gay and Lesbian Medical Association, 4(4): 159-165, p. 161 (2000).
সমকামীদের দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য
সমকামীদের মধ্যে বিভিন্ন মানসিক রোগ - ডিপ্রেশন, ড্রাগ এবিউজ, আত্মহত্যার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি । আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের জেনারেল সাইকিয়াট্রি আর্কাইভ ২০০০ ইস্যু থেকে জানা যায়, সমকামিতা এবং আত্মহত্যা ও অন্যান্য আবেগিক/মানসিক সমস্যাগুলোর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে ।
ব্যাগলে ও ট্রেম্বলের রিসার্চ থেকে দেখা যায়, সমকামী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বিষমকামীদের থেকে নিম্নপক্ষে ২ গুণ এবং উচ্চপক্ষে ১৩.৯ গুণ বেশি । কানাডায় বছরে যে কটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে তার মধ্যে ৩০% আত্মহত্যাকারী সমকামী ।
সূত্রঃ

Bagley, C., and Tremblay P. (1997). InfoSource: Gay & Bisexual Male Suicide Problems. Calgary.
সমকামী আন্দোলনের প্রবক্তা ও সমর্থকগণ সমকামীদের মানসিক সমস্যার অধিক হারের জন্য হোমোফোবিয়াকে ঢালাওভাবে দায়ী করে থাকেন । আসুন দেখে নেওয়া যাক হোমোফোবিয়া বলতে আমরা কি বুঝি –

Homophobia is a term used to refer to a range of negative attitudes and feelings towards lesbian and gay and in some cases bisexual, transgender people and behaviour although these are usually covered under biphobia and transphobia.
অর্থাৎ হোমোফোবিয়ার বলতে সমকামী ও কিছু ক্ষেত্রে উভকামী/নপুংসকদের প্রতি অমূলক অন্ধভীতি ও নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গিকে বোঝানো হয়ে থাকে। এটি সমকামীদের মধ্যে মানসিক পীড়ার উদ্রেক ঘটাতে একটি পোটেনশিয়াল ফ্যাক্টর হলেও শুধু এর কারণে যে তাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তা কিন্তু নয়। নেদারল্যান্ডের একটি উদারমনা রাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডে সমকামীদের মধ্যে বিবাহ আইনসিদ্ধ । নেদারল্যান্ডের মত সমকামী সম্পর্কে উদার একটি রাষ্ট্রের জেনারেল সাইকিয়াট্রি আর্কাইভের রিপোর্টে দেখা গেছে, তাদের দেশে সমকামীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা অত্যন্ত বেশি। হোমোফোবিয়াহীন উদার রাষ্ট্রগুলোতেও সমকামীদের মানসিক সমস্যার উচ্চহার থেকে বোঝা যায় সমকামীদের মধ্যে মানসিক সমস্যার উচ্চহারের প্রধান কারণ হোমোফোবিয়া নয়, বরং তাদের যৌনউশৃঙ্খল জীবনযাত্রা ।
উক্ত রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, পুরুষ সমকামীদের মধ্যে মেজর ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, প্যানিক ডিজঅর্ডার,অ্যাগোরাফোবিয়া এবং অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডারের ঘটনা বিষমকামীদের তুলনায় অত্যাধিক বেশি। নারী সমকামীদের মধ্যে মেজর ডিপ্রেশন, সোশ্যাল ফোবিয়া এবং অ্যালকোহল এবিউজের ঘটনাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ।
সূত্রঃ

Theo Sandfort, Ron de Graaf, et al., “Same-sex Sexual Behavior and Psychiatric Disorders,” Archives of General Psychiatry, 58(1): 85-91, p. 89 and Table 2 (January 2001).

“Netherlands Ends Discrimination in Civil Marriage: Gays to Wed,” Lambda Legal Defense and Education Fund Press Release, March 30, 2001, http://lambdalegal.org/cgibin/pages/documents/record?record=814.
সমকামীদের অপরিণামদর্শী হঠকারী ও বেপরোয়া যৌনপ্রবৃত্তি ও যৌনাচারণ
সমকামীদের মধ্যে অপরিণামদর্শী হঠকারী ও বেপরোয়া যৌনপ্রবৃত্তি ও যৌনাচারণের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ‘এইডস এট ২০” নামক ফিচারের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারা সাধারণ বিষমকামী জনগোষ্ঠী থেকে অনেক বেশি যৌনতাড়িত এবং মাত্রাতিরিক্ত যৌনাবেগের বশবর্তী হয়ে তারা ভালমন্দ চিন্তা করেই কনডমবিহীন অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হন, লিপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে একজন এইডস আক্রান্ত হলে অন্যজনে তা সংক্রমিত হয়। এমনকি সমকামী ব্যক্তিদের কেউ কেউ চরমভাবে ধ্বংসাত্মক চিন্তাধারাসম্পন্ন হয়ে থাকে। যেমন নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, এক এইডস আক্রান্ত সমকামী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতে এইডস সংক্রমিত করার জন্য কোন খেদ বা অনুতাপ নেই ।
The prospect of going through the rest of your life having to cover yourself up every time you want to get intimate with someone is an awful one. . . . Now I’ve got H.I.V. and I don’t have to worry about getting it,” he said. “There is a part of me that’s relieved. I was tired of always having to be careful, of this constant diligence that has to be paid to intimacy when intimacy should be spontaneous. There is no such thing as safe sex. . . . If people want to use condoms, they can. I didn’t go out and purposely get H.I.V.Accidents happen.
অন্যান্য রিপোর্টেও দেখা যায়, সমকামী ব্যক্তিদের মধ্যে উন্নাসিকতা অত্যন্ত বেশি, ব্যক্তিক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতি নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই । আমেরিকার সিয়াটলে করা ১৯৯৮ সালের একটি স্টাডিতে দেখা যায়, সমকামী ব্যক্তিদের এসব নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই এবং ১০ বছরের আগে পরে এই কনডমবিহীন অবাধ যৌনাচারের হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । পাশ্চাত্যের গে সার্কিট পার্টি একটি কমন ব্যাপার, সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, পার্টিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের ১৭% এর আগে থেকেই এইডস ছিলো, ১০% ব্যক্তিরা এইডস আক্রান্ত হয়েছে, ২/৩ অংশ ওরাল বা অ্যানাল সেক্সে অংশগ্রহণ করেছে এবং ২৮% কনডম ব্যবহার করেনি, ৫৭% সাইকোএকটিভ ড্রাগ ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে এবং ৯৫% ব্যবহারকারী এর আগে বিভিন্ন গে-পার্টিতে ড্রাগ ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে । গবেষকগণ ড্রাগ ব্যবহার এবং অ্যানাল সেক্সের মধ্যে একটি সরাসরি আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তাছাড়া সমকামীদের মধ্যে ধূমপায়ী ও মদ্যপানকারীর হারও বিষমকামীদের অপেক্ষা যথাক্রমে ১.৩ – ৩ গুণ ও ১.৪ -৭ গুণ বেশি । আমেরিকার সাউদার্ন স্টেটগুলোর নারী সমকামীদের ৭৮% ধূমপায়ী। সমকামীদের মধ্যে ড্রাগ এবিউজের হার বিষমকামী হতে নিদেনপক্ষে ১.৬ গুণ থেকে ১৯ গুণ বেশি । সমকামীদের মধ্যে বিষণ্ণতার হার বিষমকামীদের থেকে কমপক্ষে ১.৮ থেকে ৩ গুণ বেশি ।
সূত্রঃ
Bagley, C., and Tremblay P. (1997). InfoSource: Gay & Bisexual Male Suicide Problems. Calgary.
সমকামীদের স্বল্পায়ু জীবন
শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সমকামীদের মধ্যে প্রকট, তারই আরেক ফলাফল তাদের স্বল্পায়ু জীবন। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের একটি এপিডেমিওলজিকাল স্টাডি থেকে জানা যায়, ১৯৮৭-১৯৯২ পর্যন্ত এইডসজনিত মৃত্যুগুলোর মধ্যে সমকামী ও উভকামীরা সংখ্যায় অনেক বেশি এবং তাদের গড় আয়ু ২০ বছর হ্রাস পেয়েছে (প্রকৃতপক্ষে এর চেয়েও বেশি)। উল্লেখ্য, সিগারেটের কারণে এই গড় আয়ু ১৩.৫ বছর হ্রাস পায়, অর্থাৎ সমকামিতা ধূমপানের থেকেও অধিকতর জীবনঘাতী। স্টাডিতে বলা হয়, জনসংখ্যার ৩% সমকামী ও উভকামী হলে, ২০ বছর বয়সী সমকামী/উভকামী কিশোরের ৬৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাব্যতা মাত্র ৩২%, যেখানে বিষমকামীদের ক্ষেত্রে সেটি ৭৮%। আয়ু কমে যাওয়ার এই বিষয়ে ১৫-২০% আনরিপোর্টেড এইচআইভি এইডস কেস সংযোজিত হলে সমকামী ও উভকামীদের গড় আয়ু হ্রাস ২০ বছরেরও বেশি দাঁড়ায়। তাছাড়া আত্মহত্যা এবং যৌনরোগজনিত মৃত্যুর বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত হলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, সমকামীদের আয়ুস্কাল অত্যন্ত স্বল্প এবং এসকল কারণে রিপোর্টে উল্লেখিত গড় আয়ু হ্রাস প্রকৃতপক্ষে ২০ বছর নয়, বরং আরো অনেক বেশি।
সূত্রঃ

R. S. Hogg, S. A. Strathdee, et al., “Modeling the Impact of HIV Disease on Mortality in Gay and Bisexual Men,” International Journal of Epidemiology, 26(3): 657-661, p. 659 (1997). Death as the result of HIV infection has dropped significantly since 1996. “Life Expectancy Hits New High in 2000; Mortality Declines for Several Leading Causes of Death,” CDC News Release, October 10, 2001, www.cdc.gov/nchs/releases/01news/mort2k.htm. Nevertheless, it remains a significant factor in shortened life expectancy for homosexual practitioners.
Press Release, Smoking costs nation $150 billion each year in health costs, lost productivity, CDC, Office of Communication, April 12, 2002, www.cdc.gov/od/oc/media/pressrel/r020412.htm.
Hogg, et al., p. 660.
“Hepatitis A vaccination of men who have sex with men—Atlanta, Georgia, 1996-1997,” Morbidity and Mortality Report, CDC, 47(34): 708-711 (September 4, 1998).
সমকামীদের মধ্যে মাল্টিপল যৌনসঙ্গীর হার অনেক বেশি
সমকামীদের মধ্যে সেক্সুয়াল ফিডেলিটি বা যৌনবিশ্বস্ততার বোধই জন্ম নেয়না কেননা, তাদের মধ্যে যৌনউশৃঙ্খল গ্রুপ বা কমিউনিটি সেক্স প্রচলিত এবং বিবাহের কনসেপ্ট হালে মাত্র কয়েকবছর ধরে শুরু হয়েছে। আর সমকামী সম্পর্কে সন্তান উৎপাদনের বিষয়টি নেই বলে বিবাহ পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই তাৎপর্যবিহীন। সেক্স ইন আমেরিকা শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, ৯৪% বিবাহিত দম্পত্তি এবং ৭৫% সহবাসী দম্পত্তিদের মধ্যে যৌনবিশ্বস্ততা রয়েছে । সমকামীদের যৌনসেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া যায় এক লেসবিয়ান সমালোচিকার মন্তব্যে –
After a period of optimism about the longrange potential of gay men’s one-on-one relationships, gay magazines are starting to acknowledge the more relaxed standards operating here, with recent articles celebrating the bigger bang of sex with strangers or proposing ‘monogamy without fidelity’–the latest Orwellian formulation to excuse having your cake and eating it too.
বর্তমানে সমকামে যৌনবিশ্বস্ততাহীন মনোগ্যামির কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অনেক সমকামীই মনোগ্যামিতে বিশ্বাসী নয়, তাদের প্রাইমারী পার্টনার সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয় এবং একটি স্টাডি রিপোর্টে দেখা গেছে, সার্কিট পার্টির ৪৬% সমকামীরা কাপল হিসেবে অংশগ্রহণ করে যার মধ্যে ২৭% কাপলদের কেউ না কেউ একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে যৌনসম্পর্কিত অর্থাৎ তাদের মাল্টিপল সেক্স পার্টনার রয়েছে । আবার এই ৬৬% কাপল তাদের প্রাইমারী সঙ্গীর বাইরে অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যৌনাচারে লিপ্ত এবং পাঁচ বছর সম্পর্কটি স্থায়ী হলে (অনেক ক্ষেত্রেই হয়না) ৬৬% বেড়ে ৯০% এ যেয়ে দাঁড়ায়।
আরো দেখা গেছে – মাত্র ১৫% সমকামী পুরুষ কাপল এবং ১৭.৩ সমকামী নারী কাপলদের যৌনসম্পর্ক ৩ বছরের বেশি স্থায়ী হয়েছে । অর্থাৎ, সমকামী সম্পর্ক বলতে গেলে স্থায়ী হয়ই না, তাই অধিকাংশ সমকামীদের বিবাহও কাঁঠালের আমসত্ত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।
সমকামীদের মধ্যে যে সকল রোগের ঝুঁকি বেশি
সমকামিতা এবং এইডস
এইডসের অন্যতম প্রধান রিস্ক ফ্যাক্টর সেচ্ছাচারী সমকামী যৌনসম্পর্ক । হুভারের স্ট্যাটিস্টিক্যাল স্টাডি থেকে জানা যায়, ২০ বছরের একজন সমকামী কিশোরের ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% । ২০০৬ সালের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশনের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আমেরিকার জনসংখ্যার ২% সমকামী এবং ৫৩% নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা সমকামী, ২০০৩ সালে এই হার ছিলো ৬৩% । ১৯৯৮ সালের রিপোর্টে দেখা যায়, ৫৪% নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরাই সমকামী এবং এদের ৯০%ই সমকামী যৌনসম্পর্কের মাধ্যমে এইডস আক্রান্ত হয়েছে । ২০০৪ সালের ক্লিনিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজ জার্নালে ডঃ ক্লুজনার, রবার্ট কোহন, চার্লোট কেন্ট অভিমত দেন যে, সমকামীদের মধ্যে গনোরিয়া, সিফিলিস, সাইটোমেগালো ভাইরাস সংক্রমণ, হার্পিস, ক্ল্যামিডিয়া, লিম্ফোগ্র্যানুলোমা ভেনেরাম ও এমিবিয়াসিস অত্যন্ত বেশি এবং প্রোকটাইটিস নামক রোগটির অন্যতম কারন এই রোগগুলো। তারা আরো বলেন, প্রোকটাইটিস ও গে-বাওয়েল সিন্ড্রোমের সাথে এইডসের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে । একই কথা মেডস্কেপের মার্চ ১৫, ২০০৪ এর আর্টিকেল – নিউ লুক এট গে বাওয়েল সিন্ড্রোমে প্রকাশিত হয় । লাইফসাইট নিউজের আগস্ট ২০০৯ রিপোর্টে সিডিসি’র শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, সাধারণ জনগোষ্ঠীর চেয়ে সমকামী জনগোষ্ঠীর দ্বারা এইডস সংক্রমণের হার ৫০ গুণ বেশি ।
সূত্রঃ
Basic Statistics, CDC Division of HIV/AIDS Prevention
রয়টার্সের সেপ্টেম্বর ২০১০ রিপোর্টে দেখা যায়, প্রতি ৫ জন সমকামী ও উভকামী ব্যক্তির ১ জন এইডস আক্রান্ত এবং ৫০% জনসংখ্যা জানেই না যে তারা এইডস আক্রান্ত ।
সূত্রঃ
আমস্টারডামভিত্তিক একটি স্টাডি থেকে জানা যায় – নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের ৮৬% সমকামী । কানাডার পাবলিক হেলথ এজেন্সির সূত্রমতে – এইডস আক্রান্তদের ৭৬.১% সমকামী এবং নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের ৪৫% সমকামী । কানাডার রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, সেখানকার জনসংখ্যার ১.৭% সমকামী এবং তাদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বিষমকামীদের থেকে ২৬ গুণ বেশি।
২০০৪ সালে নামকরা মেডিকেল সাইট ওয়েবএমডি থেকে জানা যায়, যে সমকামী ও উভকামী পুরুষ নারীতে এইডস সংক্রমণের জন্য উল্লেখযোগ্য ব্রিজ বা সেতুবন্ধনকারী হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া, ২০০৬ সালে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, রেকর্ড সংখ্যক শিশু সমকামী দ্বারা যৌনসহিংসতার শিকার হয়েছে।
সমকামিতা এবং এইডস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমার সামনে প্রকাশিতব্য অভিজিৎ রায় লিখিত গ্রন্থ সমালোচনার আর্টিকেলে বর্ণীত হবে।
সমকামিতা এবং সিফিলিস
১৯৬২ সালে প্রোসিডিং অব দ্য রয়াল সোসাইটি অব মেডিসিনে সমকামিতাকে বিভিন্ন যৌনরোগের আধার হিসেবে বলা হয় এবং সিফিলিসের সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্কটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। সাইবারকাস্ট নিউজ সার্ভিস সিডিসির দেওয়া তথ্য মোতাবেক জানায় – ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০০ সিফিলিস কেসের মধ্যে ৬৫% আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী যেটি সিফিলিসের বিস্তারে প্রাইমারী ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছে । মার্কিন সরকারের তরফ থেকে বলা হয় – যেই সিফিলিস ১০ বছর আগে পাবলিক হেলথ থ্রেট হিসেবে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো, তা ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছরে আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে । সমকামীদের মধ্যে সিফিলিস সংক্রমণের হার এইডস সংক্রমণের হারের চেয়েও বেশি এবং এই হার এপিডেমিক পর্যায়ের বলে ২০০৩ সালে জানা যায়। সানফ্রান্সিসকোতে সমকামী ব্যক্তিতে সিফিলিস সংক্রমণ এপিডেমিক পর্যায়ে ।
সূত্রঃ

Resurgent Bacterial Sexually Transmitted Disease Among Men Who Have Sex With Men—King County, Washington, 1997-1999,” Morbidity and Mortality Weekly Report, CDC, 48(35): 773-777 (September 10, 1999).
Heredia, “Big spike in cases of syphilis in S.F.: Gay, bisexual men affected most.”
১৯৯১ সালের ইন্টারনাল মেডিসিন আর্কাইভে এবং ব্রিটিশ কো-অপারেটিভ ক্লিনিক্যাল গ্রুপের রিপোর্টে সিফিলিসের সাথে সমকামিতার গভীর সম্পর্ক এবং বিষমকামী অপেক্ষা সমকামীতে সিফিলিস সংক্রমণের হার ১০ গুণ বেশি বলে জানা যায়। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয় – ১৯৯৮ -২০০০ সালের মধ্যে সিফিলিসে আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষ সমকামীতে দ্বিগুণের চেয়েও বেশিহারে (১৭২ থেকে ৩৭২) এবং নারী সমকামীতে ৫৩% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । ২০০০ সালে ইংল্যান্ডে মোট সিফিলিস আক্রান্তের ৪৮% সমকামিতা থেকে আক্রান্ত হয়েছে বলে জার্নাল থেকে জানা যায়। সিফিলিসেরই তুলনামূলকভাবে দুরারোগ্য প্রকরণ নিউরোসিফিলিসের হার এইচআইভি পজেটিভ সমকামী ও উভকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি বলে লসএঞ্জেলেস উইকলির একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়।
সূত্রঃ
সমকামিতা এবং গনোরিয়া
আমেরিকান এসোসিয়েশন অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানের ২০০৬ সালের রিপোর্টে বলা হয় – শুধু সানফ্রান্সিসকোতেই গনোকক্কাল সংক্রমণ আমেরিকার মোট সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি এবং সমকামীদের মধ্য এই সংক্রমণের হার বিষমকামীদের থেকে ১৫.৩% পর্যন্ত বেশি । ১৯৯১ সালের কানাডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন জার্নালে পাওয়া যায় সমকামীদের মধ্যে বিষমকামী অপেক্ষা গনোকক্কাল সংক্রমণের হার ৩.৭% বেশি ।
সিডিসি পরিচালিত সারভিলেন্সে দেখা যায় – ফ্লুরোকুইনোলন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স সমকামীদের ক্ষেত্রে বিষমকামী অপেক্ষা ৮ গুণ বেশি। ২০০৪ সালে সমকামীদের ক্ষেত্রে রেজিস্টেন্সির কারণে উক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে মানা করা হয়। তবে বিষমকামীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু প্রদেশ ছাড়া এই রেজিস্টেন্স মাত্র ১.৩% ।
সূত্রঃ
সমকামিতা এবং ক্যান্সার
সমকামীদের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপানের হার সাধারণ জনগোষ্ঠী থেকে অত্যন্ত বেশি বলে ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যান্সার হওয়ার হারও বেশি। অ্যানাল সেক্সে মলাশয়গাত্রে অতি সহজেই ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং অ্যানাল রুট হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের জন্য একটি সহজপ্রবেশ্য রুট বলে অ্যানাল ক্যান্সারের হার সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি। নার্সিং ক্লিনিক অব নর্থ আমেরিকার জার্নালের জুন, ২০০৪ রিপোর্টে দেখা যায় – এইডস আক্রান্ত ৯০% সমকামী ব্যক্তিদের দেহে এবং এইডস ব্যতীত ৬৫% সমকামী ব্যক্তিদের দেহে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস রয়েছে যার মধ্যে এইচপিভি টাইপ ১৬ ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রকরণ।
সমকামীদের মধ্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসজাত অ্যানাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বিষমকামীদের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যানাল ক্যান্সার হওয়ার ক্ষেত্রে সমকামীদের মধ্যে এই ঝুঁকি বিষমকামীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি ।
সূত্রঃ
Mads Melbye, Charles Rabkin, et al., “Changing patterns of anal cancer incidence in the United States, 1940-1989,” American Journal of Epidemiology, 139: 772-780, p. 779, Table 2 (1994).
James Goedert, et al., for the AIDS-Cancer Match Study Group, “Spectrum of AIDS-associated malignant disorders,”
এছাড়াও পায়ুপথ দিয়ে রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ ব্যবহার, ক্রিস্টাল মেথ ব্যবহার বা ডিলডো কিংবা অন্যান্য সেক্সটয় ব্যবহার অ্যানাল ডিজপ্লাসিয়া, কন্ডাইলোমাটা এবং তা থেকে এনাল ক্যান্সার হওয়ার জন্য খুবই বড় প্রভাবক।
আবার রিসার্চে দেখা যায়, নারী সমকামীদের মধ্যে ব্রেস্ট ও সারভাইক্যাল ক্যান্সারের পরিমাণও বেশি ।
যদিও সমকামী নারীদের মধ্যে সমকামী পুরুষ অপেক্ষা যৌনস্বেচ্ছাচারিতা কম, তবুও এটি বিষমকামীদের যৌনস্বেচ্ছাচারিতা থেকে বেশি। অস্ট্রেলিয়ান গবেষকগণ দেখেছেন – সমকামী নারীদের মধ্যে ৫০ এর অধিক পুরুষ সঙ্গী গ্রহণের হার বিষমকামী নারীদের চেয়ে ৪.৫ গুণ বেশি এবং ৯৩% সমকামী নারীরা নিজেদের সমকামী বলে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তারা উভকামী অর্থাৎ, তাদের পুরুষ সঙ্গীও রয়েছে । অন্য একটি স্টাডিতে দেখা যায়, ৭৫-৯০% নারী উভকামী ।
সূত্রঃ
Katherine Fethers, Caron Marks, et al., “Sexually transmitted infections and risk behaviours in women who have sex with women,” Sexually Transmitted Infections, 76(5): 345-349, p. 347 (October 2000)
James Price, et al., “Perceptions of cervical cancer and pap smear screening behavior by Women’s Sexual Orientation,” Journal of Community Health, 21(2): 89-105 (1996); Daron Ferris, et al., “A Neglected Lesbian Health Concern: Cervical Neoplasia,” The Journal of Family Practice, 43(6): 581-584, p. 581 (December 1996); C. Skinner, J. Stokes, et al., “A Case-Controlled Study of the Sexual Health Needs of Lesbians,” Sexually Transmitted Infections, 72(4): 277-280, Abstract (1996).
সঠিক বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপির মাধ্যমে সমকামীদের বিষমকামী জীবনে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ডঃ স্পিৎজারের গবেষণায় দেখা গেছে – বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপির ৫ বছর পর এক্স-সমকামীদের ৬৪% পুরুষ এবং ৪৩% নারী নিজেদের সমকামী নয় বরং বিষমকামী বলে মনে করেন। উল্লেখ্য, ডঃ স্পিৎজার আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ছিলেন যেই সংস্থা ১৯৭৩ সালে সমকামিতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দেয় ।
বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা যায় – সমকামীদের বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপি প্রদানের মাধ্যমে ১/৩ অংশ সমকামিতা বর্জন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে, ১/৩ অংশে মিশ্র ফলাফল এসেছে এবং ১/৩ অংশ সমকামিতা বর্জন করতে পারেনি। অর্থাৎ, সমকামীদের এই থেরাপি প্রদান করে বিষমকামী করে তোলার যে প্রচেষ্টা তা ব্যর্থ –এমনটি কখনোই বলা যাবেনা ।
সূত্রঃ
সমকামিতা এবং প্যারাসাইটিক ডিজিজ

২০০৬ সালে মেডিক্যাল জার্নাল অব অস্ট্রেলিয়াতে প্রকাশিত হয় আন্ত্রিক প্যারাসাইটিক রোগের উচ্চহার সমকামীদের মধ্যে বেশি । এমিবিয়াসিস জাপানের সমকামীদের মধ্যে এন্ডেমিক এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৃত্যুর জন্য দায়ী । এমিবিয়াসিসের কারণে কোলাইটিস ও লিভার এবসেসের মত রোগ সমকামী ও উভকামীদের মধ্যে বিষমকামী অপেক্ষা বেশি। তাইওয়ানের সমকামীদের মধ্যে এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা জীবাণুর ইন্টেস্টিনাল কলোনাইজেশন অত্যন্ত বেশি এবং তারা ইনভ্যাসিভ এমিবিয়াসিসে দ্রুত আক্রান্ত হয় । ২০০৪ সালে জাপানে প্রকাশিত এপিডেমিওলজি এন্ড ইনফেকশন জার্নালে প্রকাশিত Present characteristics of symptomatic Entamoeba histolytica infection in the big cities of Japan জানা যায় –এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৫৬% সমকামী। ২০০১ সালে জাপানে প্রকাশিত ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আমেরিকা এবং জাপান উভয় রাষ্ট্রেই এমিবিক সংক্রমণের পেছনে সমকামিতা একটি হাই রিস্ক ফ্যাক্টর এবং সমকামী জনগোষ্ঠীতে এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা ও ডিস্পারের আধিক্য দেখা গেছে ।
১৯৯০ সালের পাবমেডের একটি আর্টিকেলে সমকামিতার সঙ্গে প্যারাসাইটিক রোগগুলোর নিবিড় সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত হয় । ১৯৮৫ সালের রিপোর্টে জিয়ার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া ও এন্টামিবা সংক্রমণে সমকামীরা হাইপারএন্ডেমিক (~২০ সিস্ট) বলে প্রকাশ করা হয়। ১৯৮০ সালের কানাডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়, প্যারাসাইটিক সংক্রমণের হার সমকামীদের ক্ষেত্রে ৬৭.৫% যেখানে বিষমকামীদের ক্ষেত্রে মাত্র ১৬%। উল্লেখ্য, গে-বাওয়েল সিনড্রোমের সাথে এমিবিয়াসিসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে ।
সূত্রঃ
সমকামিতা এবং প্রোক্টাইটিস
১৯৮০ সালে ডঃ মাইকেল হেলার বলেন - সমকামী ব্যক্তিরা কলোরেকটাল ডিজঅর্ডারগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের যৌনউশৃঙ্খলতা, মাল্টিপল যৌনসঙ্গী থাকা ও অতিমাত্রায় অবাধ যৌনাচার এ ব্যাপারে মেজর রিস্ক ফ্যাক্টর। প্রোক্টাইটিস বা মলাশয়ের প্রদাহ সমকামীদের মধ্যে বেশ কমন এবং এইভআইভি নেগেটিভ ব্যক্তিদের এইচআইভি পজিটিভ করণে বড় একটি প্রভাবক । শুধু তাই নয়, আমেরিকা ও ইউরোপের সমকামীদের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়াল যৌনরোগগুলোর সাথে সাথে প্রোক্টাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি । গনোরিয়া, সিফিলিস, সাইটোমেগালো ভাইরাস, হার্পিস, ক্ল্যামিডিয়া, লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরাম, শিগেলা ও এমিবিয়াসিস রোগ থেকে সহজেই প্রোক্টাইটিস হতে পারে । উল্লেখ্য, সমকামীদের মধ্যে এই সকল রোগের হার বিষমকামী অপেক্ষা অত্যন্ত বেশি ।
সূত্রঃ
সমকামিতা এবং শিগেলোসিস
২০০৭ সালে ক্লিনিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজ জার্নালে বলা হয় – শিগেলা সংক্রমণ সম্ভবত যৌনবাহিত রোগ কেননা সমকামীদের মধ্যে শিগেলা সংক্রমণের হার অত্যাধিক বেশি বলে রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে । এই রিপোর্টকে সমর্থন করে ২০০৭ সালেই আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যেখানে বলা হয় – শিগেলা সংক্রমণের জন্য ওরাল – অ্যানাল রুট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সমকামীদের মধ্যে এই সংক্রমণটি যৌনবাহিত ও সংক্রমণের মাত্রা অত্যাধিক । উল্লেখ্য, শিগেলা সংক্রমণ এইডস আক্রান্ত বা দুর্বল ইমিউনিটি সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ।
সূত্রঃ
সমকামিতা এবং হার্পিস
হিউম্যান হার্পিস ভাইরাস ৮ ( এইচএইচভি-৮) এমন একটি রোগ যেটি শুধুমাত্র সমকামীদের মধ্যেই পাওয়া যায় । সমকামী এইচআইভি আক্রান্তদের অনেকেই এই ভাইরাসজাত কাপোসি সারকোমা নামক একটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, যেটি বিষমকামীতে বিরল । নিউ ইংল্যান্ড মেডিসিন জার্নালের একটি কোহোর্ট স্টাডি থেকে জানা যায় –এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৮% গত ৫ বছরে সমকামী সম্পর্কে জড়িত ছিলো এবং বাকিরা উভকামী কিন্তু একজন ব্যক্তিও শুধুমাত্র বিষমকামী নয় । এই স্টাডি থেকে আরো একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় যে, এইচআইভি ও এইচএইচভি-৮ ভাইরাসে আক্রান্ত ৫০ % ব্যক্তি আগামী ১০ বছরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে । এই ভাইরাসের সংক্রমণ লালার মাধ্যমে হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয় ।
সমকামিতা এবং স্থূলত্ব বা ওবেসিটি
সিডিসির ২০০১-২০০৯ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক পিটার লাবারবারা সমকামীদের মধ্যে ১০টি রিস্ক বিহেভিয়ার চিহ্নিত করেন যার মধ্যে একটি ছিলো স্থূলত্ব সংক্রান্ত । ২০০৭ সালে আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথের ফ্যামিলি গ্রোথ সংক্রান্ত সার্ভে ২০০২-২০০৭ পর্যন্ত উপাত্ত থেকে জানা যায় - নারী সমকামীদের মধ্যে স্থূলত্ব সাধারণ বিষমকামী নারীদের থেকে ২.৬৯ গুণ এবং সমকামী ব্যতীত অন্যান্য সকল যৌনবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন নারীদের থেকে ২.৪৭ গুণ বেশি । ২০০৯ সালে পাবমেড প্রকাশিত পোল্যান্ডের একটি সাইকিয়াট্রিক জার্নালের আর্টিকেল –বডি ইমেজ ইন হোমোসেক্সুয়াল থেকে জানা যায় –

Homosexual women are less concentrated on physical appearance and more satisfied with their bodies while being more tolerant to obesity.... For lesbian women the ideal body image is more massive than for heterosexual women.
সূত্রঃ
সমকামিতা ও হেপাটাইটিস এ,বি,সি
সিডিসির রিপোর্টে পর্যাপ্ত প্রোটেকশনবিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন সমকামী যৌনসংসর্গকে হেপাটাইটিস এ এবং বি-র জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন হেপাটাইটিস এ এবং বি ইনফেকশনে সমকামীদের ১০ ও ১৫-২০% অংশ রয়েছে । সিডিসির রিপোর্টে বলা হয় –

Although the overall incidence of hepatitis A has declined in the United States over the past decade, frequent outbreaks continue to be reported among MSM.
১৯৮৮ সালের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের সার্ভেতে দেখা যায়, ২১% সমকামী জনগোষ্ঠী এবং ১৮% বিষমকামী জনগোষ্ঠী দ্বারা হেপাটাইটিস বি সংক্রমিত হয়েছে । সমকামী জনগোষ্ঠী যেহেতু মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১-৩% সেহেতু আনুপাতিক বিচারে হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের ক্ষেত্রে সমকামী যৌনসম্পর্ক নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ।
সূত্রঃ
Changing Patterns of Groups at High Risk for Hepatitis B in the United States,” Morbidity and Mortality Weekly Report, CDC, 37(28): 429-432, p. 437 (July 22, 1988). Hepatitis B and C are viral diseases of the liver.
Edward O. Laumann, John H. Gagnon, et al., The social organization of sexuality: Sexual practices in the United States, p. 293, Chicago: University of Chicago Press, 1994
Michael, et al., p. 176; David Forman and Clair Chilvers, “Sexual Behavior of Young and Middle-Aged Men in England and Wales,” British Medical Journal, 298: 1137-1142
(1989)
Gary Remafedi, et al., “Demography of Sexual Orientation in Adolescents,” Pediatrics, 89: 714-721 (1992). See appendix A.
হেপাটাইটিস সি মূল যৌনবাহিত রোগ না হলেও এর যৌনবাহিত প্রকরণে সমকামী যৌনসম্পর্কের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ডঃ ভিনসেন্ট সোরিয়ানোর Advances in the Management of Viral Hepatitis B and Hepatitis C Infection in HIV-Coinfected Patients শীর্ষক আর্টিকেলে ।
সূত্রঃ
মেথিসিলিন রেজিস্ট্যান্ট স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস ইনফেকশন
২০০৮ সালের ১৫ই জানুয়ারীর সানফ্রান্সিসকো ক্রনিকলে সমকামীদের মধ্যে স্ট্যাফাইলোকক্কাল ইনফেকশনের একটি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট প্রকরণ উদ্ভূত হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারী অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিনের একটি স্টাডিতে উল্লেখিত হয় সমকামীদের মধ্যে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ইউএসএ৩০০ এমআরএসএ খুবই কমন একটি বিষয় এবং যৌনবাহিত এই রোগটির জীবাণুর কাউন্ট নিতম্ব, যৌনাঙ্গ ও পেরিনিয়ামে তুলনামূলকভাবে বেশি । গবেষকদের গবেষণা থেকে জানা যায় – দুরারোগ্য এই ইনফেকশনের ঝুঁকি বিষমকামী অপেক্ষা সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১৩ গুণ বেশি । সিডিসিও ১৬ই জানুয়ারী তাদের এক প্রজ্ঞাপনে একই ধরনের স্টেটমেন্ট ইস্যু করে।
সূত্রঃ
এছাড়া এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা ও বুলিমিয়া নার্ভোসার সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্ক পাওয়া গেছে মেডস্কেপের আর্টিকেলে (লগ ইন থাকতে হবে) ।
সূত্রঃ
ইসলাম ও সমকামিতা
ইসলাম ও সমকামিতার মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে, সেটি নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট দেব ভবিষ্যতে। এখানে শুধু দুই তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখিত হলো -
কোরান থেকে হজরত লুতের সময়কার জনগোষ্ঠী ধবংসের আষাঢ়ে গল্পের সাথে সাথে অন্য একটি সুরা নিসার ১৬ নং আয়াতে পাওয়া যায় -
তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর । অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও । নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু ।
অর্থাৎ, সমকামীদের প্রশ্নে কোরান দ্বিচারী কেননা একদিকে তাদের ধবংসের কথা দাবী করছে অর্থাৎ তাদের কঠিন শাস্তির কথা বলছে, অপরদিকে সুরা নিসাতে বলছে যদি তারা তওবা ও সংশোধন করে তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নিতে অর্থাৎ শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিতে ।





ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে সমকামীদের যেই নৃশংস মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তা মানবতার প্রতি চরম অন্যায় এবং নির্মম নৃশংস ও বর্বরোচিত। চোরের হাত কেটে দিলে চোর পরিবারের ও সমাজের বোঝাস্বরূপ হয়ে যায়, ফলে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধিত হয়,অথচ চোরের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করলে হয়তো সে চুরি করতো না,অধিকাংশ চোরই আর্থিক দুরবস্থার কারণে চোর হয় । তেমনি, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া একেবারেই মানবতাবিরোধী নৃশংস ও বর্বরোচিত কাজ । বরং চেষ্টা করতে হবে, তারা যাতে সমকাম থেকে বিষমকামী যৌনাচারণে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয় । মৃত্যুদণ্ড কোন সমাধান নয় ।




তবে ইসলামিক দেশগুলোতে সমকাম প্রকাশ্যে না চললেও ভেতরে ভেতরে খুব চলে কেননা স্ত্রী ব্যতীত নারীসংসর্গ ইসলামিক দেশগুলোতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ, অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষা দমন করতে না পেরে ও নারীদের সঙ্গে মিলিত হতে না পেরে ইসলামিক দেশগুলোতে অনেকেই সমকামী যৌনসম্পর্কে প্রবৃত্ত হয় । সমকামের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে ইসলামিক দেশগুলোর বিপুল সমকামী জনগোষ্ঠী নিজেদের সমকামী চরিত্রটি গোপণ করে রাখে । তবে এই ছবিগুলোতে দেখা যায়, পেডোফিলিয়া ও সমকাম ইসলামিক নেতাদের মধ্যে বেশ প্রচলিত। উল্লেখ্য, এরা সমকাম ও পেডোফিলিয়ায় রত হলেও এদের মৃত্যুদণ্ড হয়না, হয় সাধারণ সমকামী জনগোষ্ঠীর । কি নিদারুণ দ্বিচারিতা/হিপোক্রিসি এই মুসলিম বা ইসলামিক সমাজে, তাজ্জব হয়ে যেতে হয় ।
অভিজিৎ রায়ের সমকামিতাঃ একটি বৈজ্ঞানিক ও সমাজ মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান শীর্ষক বইটির ব্যর্থতা

অজয় রায়ের পুত্র অভিজিৎ রায় পেশায় একজন প্রকৌশলী, চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে ওনার ধারণা যে একেবারেই শূন্যের কোঠায় তার প্রমাণ পাওয়া যায় তার সমকামিতার ওপর লেখা বইটি পড়লে। বইটিতে সারবস্তু কিছুই নেই, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে বা সেগুলোকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রানীজগতের অন্যান্য প্রাণীতে সমকামিতা আছে কিনা সেটির উপর সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়ে সমকামিতা ও ‘গে-বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে (বইটির ১০ অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য)। মানবাধিকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সমকামীদের মানবিক জীবন যাতে মানবেতর হয়ে না ওঠে সেদিকে আমাদের সকলেরই দৃষ্টি দেওয়া উচিত, হোমোফোবিয়া বা সমকামীদের নিয়ে অহেতুক ভীতি (স্বাস্থ্যগত নয়) এক ধরণের রোগ। দুটোই বর্জনীয়। কিন্তু মানবাধিকারের থেকে বড় জীবন মরণের প্রশ্ন কেননা জীবনই যদি না থাকে তাহলে মানবাধিকার সহ সকল মতাদর্শ/মতবাদ বা ইজম অর্থহীন। অর্থাৎ মানবাধিকার অনেক বড় বিষয় হলেও মানবাধিকার বনাম জীবন মরণের প্রশ্নে জীবনমরণের প্রশ্নটি অগ্রাধিকার পাবে অর্থাৎ তুলনামূলক বিচারে জীবনমরণ আগে, অতঃপর মানবাধিকার। যেহেতু সমকামিতার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত শারীরিক ও মানসিক রোগব্যাধির সৃষ্টি হয় বা সেগুলোর মাত্রা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়, সেহেতু জীবন বাঁচাতে সমকামিতাকে না বলা শিখতে হবে আমাদের, কিন্তু তাই বলে মৃত্যুদণ্ড একেবারেই অসমর্থনযোগ্য পন্থা।
উপরে সমকামিতার অজস্র স্বাস্থ্যগত ক্ষতির বর্ণনা প্রদানের মাধ্যমে বোঝা যায়, মানবাধিকার সহ সকল দৃষ্টিকোণই সমকামের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সামনে জোরালো ইস্যু হিসেবে দাঁড়াতে একেবারেই ব্যর্থ এবং তাই অভিজিৎ রায়ের গ্রন্থটি যে একেবারেই ভুল তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। তবে তার গ্রন্থের মধ্যে যে সকল স্পেসিফিক বা নির্দিষ্ট ভুল এবং অযৌক্তিক বক্তব্য রয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে আমার পরবর্তী আর্টিকেলে, এই আর্টিকেলেরই সম্পূরক হিসেবে।
আসুন সমকামিতাকে না বলে বিষমকামী জীবনাচরণে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ হই, তবে সমকামীদের প্রতি সহিংস আচরণ করা বন্ধ করারও শপথ সাথে সাথে নেই । সমকামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, তাদের প্রতি সহমর্মী হওয়া উচিত, তাদের প্রতি আক্রমণ নয়, নির্যাতন নয়, বিদ্বেষ নয়, মৃত্যুদণ্ড নয় বরং বন্ধুর মত আচরণ করে এবং সঠিক বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপির মাধ্যমে তাদেরকে বিষমকামী জীবনধারায় অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত করাই আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
হোমোসেক্সুয়ালিটি এবং হোমোফোবিয়া উভয়টিই বর্জনীয় তবে সমকাম কোন রোগ নয়, কিন্তু এই আচরণে অসংযত জীবনযাত্রা কমন, সেজন্যই তাদের কিছু মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, উপরন্তু রয়েছে হোমোফোবিয়া, যেটিকে সমকামীভীতি সমকামবিদ্বেষ বলা যেতে পারে এবং হোমোফোবিয়ার বশবর্তী হয়ে তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং রূঢ় ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত । সমকামিতা সমাজ ও পরিপার্শ্ব থেকে আত্মলব্ধ বা অর্জিত একটি বৈশিষ্ট্য যেই বৈশিষ্ট্য বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপী মাধ্যমে অনেকটাই দূর করা সম্ভব এবং অনারোগ্য কেসগুলোর ক্ষেত্রে প্রোপার কন্ট্রাসেপশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো অনেকটাই কমিয়ে অ্যানা সম্ভব, এরকমই হওয়া উচিত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমার লেখায় এখানে নিরপেক্ষভাবে যেই বিষয়গুলো সত্য, সেই বিষয়গুলোকে সত্য বলে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সমকামীদের ঘৃণা করিনা, আমি সমকামীদের মানসিক রোগীও বলিনি। আবার গে বাওয়েল ডিজিজ নামের ভুল ও প্রোপাগান্ডামূলক একটি অসুখের গল্প করে সমকামবিদ্বেষী গোড়া মুসলিম ও খ্রিস্টানেরা, আমি সেটার পক্ষেও লিখিনি। যা সত্য তাই বলা হয়ছে, কোন পক্ষে বিপক্ষে যাওয়া হয়নি । আস্তিক নাস্তিক উভয় দলেরই সমকাম নিয়ে অজস্র ভুল ধারণা রয়েছে । তাই এখানে পক্ষ বিপক্ষের খেলা খেলে লাভ নেই। পক্ষে বিপক্ষে না যেয়ে বা সমকামীদের প্রতি হেট স্পীচ না দিয়ে বিষয়বস্তু ও বক্তব্য যথার্থভাবে বুঝে পড়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে ।

1 comments:

  • February 10, 2021 at 12:47 AM

    Gemita 1400mg Injections treats breast cancer. Includes treatment for cancer and soft tissue sarcoma. Buy any medicine from best online pharmacy in USA with the great discount.

    delete

Post a Comment