আত্মসমর্পণের বৃত্ত থেকে ক্রিকেট দলকে বেরোতে হবে

,
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের ৭২ টেস্টে ৩৫তম ইনিংস পরাজয়ের পর দেশের ক্রিকেট নিয়ে তলিয়ে ভাবা এবং সঠিক পথ নির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক আসরে হাসির পাত্র হতে দেশের সব মানুষ রাজি নয়। নিজেদের দলের জন্যও আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। দেখতে দেখতে টেস্ট খেলারও যুগপূর্তি হতে চলল, ওয়ানডে খেলছি ২৫ বছর হলো। অতিসম্প্রতি জিম্বাবুয়ে দল দেখিয়েছে, পিছিয়ে পড়লেও আবার কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এখন বাংলাদেশের জন্য হোম গ্রাউন্ডেও বদলে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে হারানোর সম্ভাবনা কমে গেছে।
আইসিসির টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে আমাদের অবস্থান বরাবর সবার পেছনে আছে। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, আপত্তিরও কারণ নেই। আমি বলব, র‌্যাংকিংয়ের সঙ্গে রেটিংটাও দেখতে। তাতে যে কোনো অগ্রগতি নেই। প্রথম আটটি দলের পরস্পরের মধ্যে অবস্থানের ক্রম অনুসারে রেটিংয়ের ব্যবধান খুব বেশি নয়। প্রথম থেকে দ্বিতীয়ের ব্যবধান মাত্র ৭—১২৫ ও ১১৮। প্রথমের সঙ্গে অষ্টমের ব্যবধানের হার—৪: ৩। কিন্তু অষ্টমের সঙ্গে নবমের অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যবধানের হার—১০: ১। এটা বরাবরই এই রকম। ওয়ানডেতেও অবস্থা একই রকম। তবে টেস্টই মূল ক্রিকেট বলে এ লেখা, সেটিই আমার বিচার্য বিষয়।
আমাদের দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান বলে স্বীকৃত তামিমের গড় ৩৮.৯৩। ১১ বছরে ৭২ টেস্ট খেলার পরও আমাদের দলের কারও দ্বিশতক নেই, দেড় শর বেশি রান আছে মাত্র ১টি। দুই শত রানের পার্টনারশিপ মাত্র ১টি—তা-ও বরাবর ২০০ রানের। এযাবৎ খেলা প্রায় দেড় শত ইনিংসে শত রানের পার্টনারশিপ হয়েছে মাত্র ৩৩টি।
যদি ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরনগুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন তখন দেখা যাবে শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে অসময়ে উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। দল, ম্যাচ, ইনিংসের অবস্থা ও বাস্তবতার সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরনে কোনো পার্থক্য থাকে না। অথচ একটা ম্যাচে ব্যাটসম্যান যে পিচে দাঁড়িয়ে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে লিপ্ত হন, তা স্বতন্ত্র কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একটি ম্যাচ ও ইনিংসের ধারাবাহিকতায় সেই ম্যাচ ও ইনিংসের বিশেষ অবস্থায় একটি দলের (এবং অবশ্যই দেশের হয়ে) তিনি খেলছেন। ম্যাচ বা ইনিংসের চাহিদা বুঝে ব্যাটিংয়ের নমুনা আমাদের ব্যাটসম্যানরা দেখাতে পারছেন না। ক্রিকেট মূলত এবং শেষ পর্যন্ত রানেরই খেলা বলে ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে এত কথা বললাম। অন্য দলের রান আটকানো ও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতার জন্য বোলিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হবেই। কিন্তু এখনো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে বাংলাদেশ দল দুবার অলআউট করতে সক্ষম বলে মনে হয় না। টেস্টে মাত্র দু-একবার এই যোগ্যতা দেখালে তা ধর্তব্যের মধ্যে আসবে না।
বলতে বাধ্য হচ্ছি, মিডিয়ার ভূমিকাও খেলার উন্নতির জন্য সহায়ক হচ্ছে না। এটা ঠিক, বাংলাদেশের মানুষ নানা ব্যর্থতা ও পিছিয়ে থাকার গ্লানির মধ্যে সামান্য সাফল্যের জন্য মুখিয়ে থাকে, সফল মানুষ পেলে তাদের তারকা বানাতে চায়। কিন্তু এ মানসিকতার ফলে প্রায়ই সাফল্যের মান বা সফল ব্যক্তির অর্জনের সঙ্গে আমাদের উদ্যাপনের মিল থাকে না। এই যে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান নাজিমউদ্দিন হিরো বনে গেলেন, দেশবাসীর সকৃতজ্ঞ সাধুবাদ পাচ্ছেন—এসবই নিছুক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই ঘটছে। এটা টেস্ট ইতিহাস বা টেস্ট ঐতিহ্যের পটভূমিতে ব্যাটসম্যানের সামান্য অর্জন। আমাদের দুর্বল অসহায় অবস্থা এভাবেই ফুটে ওঠে। খেলাধুলায় সাফল্য তো শেষ পর্যন্ত মাঠ থেকেই আদায় করতে হবে।
সাংগঠনিক বা কূটনৈতিক যোগাযোগ ও তৎপরতা চালিয়ে যেসব অনুমোদন/মর্যাদা আদায় করা সম্ভব তার সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সের যদি সামঞ্জস্য না থাকে তবে তো গোমর ফাঁক হয়ে যায়। আমাদের দলের সাফল্যে ধারাবাহিকতা নেই। আদতে এ কথাও বলার সুযোগ নেই। কারণ আমাদের ব্যর্থতার তো ধারাবাহিকতা আছে। ব্যর্থতার মধ্যে সাফল্য খোঁজার পণ্ডশ্রম না করে কীভাবে ব্যর্থতা কাটিয়ে সফল হওয়া যাবে সে পথ খোঁজা ও দেখিয়ে দেওয়াই ছিল মূল কাজ।
আশরাফুল বা তামিম টেস্ট ক্রিকেটে তাঁদের প্রাথমিক অর্জন দিয়েই হিরো হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ওঁরা জাতীয় দলে টানা খেলেছেন, খেলছেন। প্রায় একই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্ক বা ইংল্যান্ডের অ্যালেস্টার কুক। ক্লার্কের ৭৬ টেস্টে ১৭ সেঞ্চুরি এবং রানগড় ৪৬.৩৪। আর পরে এসেও কুকের ১৯টি সেঞ্চুরি, প্রায় ৫০ গড়। এর মধ্যে আশরাফুল দলের অধিনায়ক হয়ে তা হারালেন এবং চট্টগ্রাম টেস্টের ‘কৃতিত্বে’ প্রায় নিজেও হারিয়ে গেলেন। তামিম অধিনায়কত্বের দৌড়ে এগিয়ে থেকে তা হারালেন। এখন ওঁর মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তিত হতে হচ্ছে।
মনে রাখা দরকার, দলের পরাজয় নিশ্চিত জেনে, পরাজয়ের ধরন কতটা অমর্যাদাকর হবে সে ভয়ে ও চাপে থেকে কারও পক্ষেই সেরা খেলাটা দেওয়া সম্ভব নয়। শুধু ক্রিকেট নয়, যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণকারীর মনোবলে ঘাটতি থাকতে পারবে না। কিন্তু বছরের পর বছর আমরা খেলোয়াড়দের এমন একটা অসম লড়াইয়ের ময়দানে পাঠাচ্ছি যে তাঁদের কোনো মনোবল অবশিষ্ট থাকছে না। বরং মাঠে তাঁরা যা খেলছেন তাতে মর্যাদাবোধ নিয়েই টানাটানি পড়ার কথা। কেননা আমাদের মান নিয়ে প্রতিপক্ষ যদি স্তোক বা সান্ত্বনা বাক্য শোনায় কিংবা পিঠ চাপড়ে দিয়ে করুণা প্রকাশ করে সেটা নিশ্চয়ই সমমর্যাদার স্থান আর রাখে না। আড়ালে ফিসফিসানি, হাসাহাসির পাত্র হতে হয়।
আমাদের ক্রীড়া সাংবাদিক বন্ধুদের বিশেষভাবে বুঝতে হবে টেস্ট ক্রিকেট এক কঠিন লড়াইয়ের মাঠ—ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনের সমন্বয়ে পাঁচ দিন সমানতালে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পুঁজি থাকতে হবে।
লড়াই চালিয়ে হারলে তাতে লজ্জা নেই। বরং মর্যাদা যোগ হয়। আমরা হারছি তাতে আপত্তি নেই, আপত্তি হলো লড়াই-ই করতে পারছি না। করুণভাব আত্মসমর্পণ করছি। ফলে বিশ্ব ক্রিকেটের আসরে মর্যাদা হারাচ্ছি, উপহাস ও করুণার পাত্র হচ্ছি।
যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রেস পন্টিংকে বাদ দেওয়ার জন্য সরব হয়েছে তখনো কিন্তু ৬০-৭০ রানের বেশ কটা ইনিংস খেলেছেন তিনি। কিন্তু প্রথম সারির ব্যাটসম্যান যদি ১০ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারেন তবে কথা উঠবেই। এটাই বিশ্ব ক্রিকেটের মান। এখানে রাত-পাহারাদার হিসেবে নেমে বোলার গিলেস্পিও দ্বিশতক হাঁকাতে পারেন; চার শ উইকেটের মালিক তদুপরি ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকানো হরভজন বাদ পড়েন, দেড় শ-দুই শ রানের পার্টনারশিপ নবম-দশম উইকেটেও হতে পারে। এতসব চমক, পারঙ্গমতা নিয়েই তো ক্রিকেটের অনিশ্চয়তা, ক্রিকেটের মহত্ত্ব তৈরি হয়।
বর্তমানে যেভাবে চলছে তা চলতে থাকলে খেলোয়াড়দের সব সময় পরাজয়ের অজুহাত খুঁজতে হবে মুখরক্ষার জন্য। দীর্ঘদিন এই একই অবস্থা চললে খেলাটা খেলা থেকে নিয়ম রক্ষার বাধ্যতা হয় এবং প্রকারান্তরে হয়ে যায় মিছেমিছি ব্যাপার—ছোটদের খেলনাপাতি খেলার মতো। অর্থাৎ খেলাটাও মূল্য ও মর্যাদা হারিয়ে হয়ে যায় মিছেখেলা। কেননা খেলার ফলাফলটা আগেই সবার জানা, এমনকি অমর্যাদাকর করুণ পরাজয়টাও। এই পরিস্থিতি গা-সওয়া হয়ে যাওয়া হবে ভয়ানক। যেন কোনোমতে টিভি ক্যামেরা, আর সাংবাদিকদের সামলে এলেই হলো। মিছে সম্মান, মিছে তারকাখ্যাতি রক্ষা করতে গোঁয়ার্তুমি বা একটা গা-জোয়ারি ভাব নিয়ে চলার প্রবণতা বাড়বে। আর সেই মানুষেরা হবে মেজাজি, ভাবাবেগপ্রবণ, হ্যান্ডল-উইথ-কেয়ার ধরনের স্পর্শকাতর মানুষ। মোদ্দা কথা, ব্যক্তিত্বটা হবে ভঙ্গুর। এ মনোভাব নিয়ে খেলা জেতা আর পাঁচ দিনের টেস্ট লড়াই চালিয়ে যাওয়া অলীক কল্পনামাত্র। তাহলে কী করা উচিত? অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তবে সবার আগে ভুল শুধরে সঠিক প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের উচিত স্বেচ্ছায় দুই বা তিন বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানো।
এই সময়ে এমন ২৫-৩০ জনের একটি দল তৈরি করতে হবে যেখানে অভিজ্ঞতা, বয়স, দক্ষতা, প্রতিভা ও তারুণ্যের মিশেল থাকবে। লক্ষ করবেন, পৃথিবীর সব টেস্ট খেলুড়ে দলের সূচনাপর্বে অধিনায়ক অবশ্যই বয়স্ক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিলেন তো বটেই, দলেও বয়স্ক অভিজ্ঞদের পাল্লা ছিল ভারী। সাম্প্রতিককালের নজির দিই। শ্রীলঙ্কা যখন টেস্ট মর্যাদা পায় তাদের পুরো দলের গড় বয়স ছিল ৩০ বা তার ওপর। জিম্বাবুয়ে ১৯৯২ সালে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে ডেভ হটনের নেতৃত্বে। তাঁর বয়স তখন ৩৫। ওই দলেরও অনেক খেলোয়াড়ই ছিল ত্রিশোর্ধ্ব। উল্লেখ্য, প্রথম দুটি টেস্টই তারা ড্র করেছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট প্রত্যাবর্তন হয়েছে ১৯৯২ সালে। তাদের উদ্বোধনী সিরিজের অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলসের বয়স তখন ৩৫। দলে ছিলেন ৪০ বছরের ওমর হেনরি, ৩৭ বছরের কারস্টেন, ৩৩ বছরের রিচার্ডসন, ৩২ বছরের ম্যাকমিলান ইত্যাদি। তখনকার চেয়ে এখন খেলোয়াড়দের ফিটনেস চাই অনেক বেশি। তবে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে ফিটনেস বাড়ানো ব্যবস্থাও বেড়েছে অনেক। ফলে ৩৭-৩৮ বছর বয়সে পন্টিং-শচীনরা ফিটনেস ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশ পরিণত অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ধরে রাখেনি। আবার প্রতিভাবান তরুণদের অভিজ্ঞ পরিণত খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। আমি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট দলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বুলবুলের আরও দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পক্ষে ছিলাম। দরকার ছিল বুলবুল, আকরাম, দুর্জয়, নান্নু (টেস্টে সুযোগই পাননি), বাশারদের টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করা। অভিজ্ঞতা ও বয়স্ককে পাত্তা না দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ২২-২৩ বছরের কিশোরদের ঠেলে দেওয়া আর তাঁদের বলি দেওয়া একই কথা। আমরা যেন তরুণ প্রতিভার করুণ অপচয় দেখছি বছরের পর বছর।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে অনেক ঠেলাঠেলির পর নান্নুকে নেওয়া হয়েছিল দলে, মাঠে সেই ‘বয়স্ক’ নান্নুই ছিলেন সেরা।
আমি বলব, ২৫ জনের দলে অন্তত ৮ জনের বয়স ৩২-এর ওপর ও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অন্তত ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আটজন থাকবে (২৬-৩২-এর মধ্যে) এবং ক্রিকেট মাঠে অন্তত ১০ বছরে অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে দারুণ ফিট। বাকি ৯ জন হবে প্রতিভাবান সম্ভাবনাময় অনূর্ধ্ব-২৫ বয়সের তরুণ। আর এই তিন বছর তারা ওয়ানডে খেলবে, বিদেশে প্রচুর সফর করে তিন-চার দিনের ম্যাচ ও ওয়ানডে খেলবে অনেক এবং দেশে একাধিক বিদেশি খেলোয়াড়সমৃদ্ধ একাধিক উচ্চমানের লিগ ও টুর্নামেন্ট খেলবে। আর এই দু-তিন বছরের জন্য এমন একজন নির্ভরযোগ্য কোচ চাই যিনি ক্রিকেটীয় দক্ষতার পাশাপাশি দলের প্রকৃত গুরু, প্রকৃত অভিভাবক হয়ে উঠবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবে দক্ষ, পেশাদার সহায়ক দল।
দোহাই বাংলাদেশের জন্য পৃথক মানদণ্ড খাড়া করবেন না কেউ। দোহাই, মিছেমিছি খেলা, মিছেমিছি তারকার মোহমায়া সৃষ্টি করবেন না। স্পনসরের প্রলোভন, আইসিসির করুণা, টিভির রুপালি হাতছানি, বিজ্ঞাপন-অর্থ-প্রচারণার মাতামাতিতে গা ভাসাবেন না। আমাদের তেমন অগ্রগতি হয়নি, অর্জন সামান্য। দোহাই দেশপ্রেমের নামে আত্মপ্রতারণায় নামবেন না। এ কথা এ কারণেও জোর দিয়ে বলব, সত্যিই আমাদের দেশে প্রতিভার অভাব নেই। কেবল কর্মকর্তাদের ভুল পরিচালনায় সব সম্ভাবনা বারবার সূচনাতেই নষ্ট হচ্ছে। বর্তমান টিমেও সাকিব, তামিম, নাসির, নাজিম, মুশফিকদের প্রতিভার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু এই তরুণদের তো গড়ে তুলতে হবে। তাঁদের কাঁধে বিশাল বোঝা চাপানোর আগে সে বোঝা নেওয়ার জন্য তাঁদের ঠিকমতো তৈরি করতে হবে।

Partner site : online news / celebritiescelebrity image
website design by Web School.

0 comments to “আত্মসমর্পণের বৃত্ত থেকে ক্রিকেট দলকে বেরোতে হবে”

Post a Comment